প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে গিয়ে গণেশ পুজোয় আরতি করেন তিনি। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। এবার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন পি উইলসন। তিনি সিনিয়র অ্য়াডভোকেট। তিনি তামিলনাড়ু থেকে রাজ্যসভার সদস্য়। ভারতের প্রাক্তন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া।
তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন প্রধান বিচারপতির বাড়িতে। গণেশ পুজোয় গিয়েছিলেন তিনি। এটা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তবে আমার মতে 'এটা অপ্রত্যাশিত। এটা সত্যি যে বিচারপতিদের স্বাধীন থাকা দরকার। কিন্তু সেটা হল তাঁদের সাংবিধানিক কর্তব্য ও অফিসিয়াল ডিউটি। এটা ঠিক নয় যে বিচারপতিদের রাজনৈতিক লোকজন থেকে আলাদা থাকতে হবে সমস্ত ব্যক্তিগত ও সামাজিক ইভেন্টের ক্ষেত্রে। আমরা বিচারপতিদের সামাজিকভাবে একেবারে আলাদা করে দিতে পারি না।'
‘বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নিজেকে প্রমাণ করেছেন যে তিনি নিরপেক্ষ ও সৎ তাঁর গোটা কেরিয়ারের ক্ষেত্রে। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন যাপন করতেই পারেন, পরিবার ও আমন্ত্রিতদের মধ্যে তিনি ধর্মীয় কাজ পালন করতেই পারেন। এটা তাঁর পছন্দের উপর নির্ভর করছে। এটা তাঁর নিজের সাংবিধানিক অধিকার ও স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে।’
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
একটি ভিডিওতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং তাঁর স্ত্রীকে আরতি করতে এবং গণেশের মূর্তির সামনে প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে উদযাপনের সময় প্রধানমন্ত্রী একটি ঐতিহ্যবাহী মহারাষ্ট্রীয় টুপি পরেছিলেন।
মোদী লেখেন, 'প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়জির বাসভবনে গণেশ পুজোয় যোগ দিয়েছি। ভগবান শ্রী গণেশ আমাদের সকলকে সুখ, সমৃদ্ধি এবং দুর্দান্ত স্বাস্থ্যের আশীর্বাদ করুন।
এদিকে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে মোদীর গণেশ বন্দনা নিয়ে কটাক্ষ করেছিল কংগ্রেস।
তার জবাবে বিজেপি মুখপাত্র সেহজাদ পুনাওয়ালা একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায়, মনমোহন সিং এবং বালকৃষ্ণন হাসাহাসি করছেন কিছু একটা বিষয়ে। পুনাওয়ালা বলেন, 'সেই সময় বিরোধীদের মনে হত যে বিচার ব্যবস্থা নিরাপদ আছে। কিন্তু আজ যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধান বিচারপতির বাসভবনে গণেশপুজোয় যোগ দিতে গিয়েছেন, তখন মনে হচ্ছে বিচারব্যবস্থা নিরপেক্ষ নয়!'
এদিকে এই নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্র। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধীরা এই নিয়ে অকারণ রাজনীতি করছে। তাঁর কথায়, 'গণতন্ত্রের বিভিন্ন স্তম্ভের কি একত্রিত হওয়া উচিত নয়? তাদের কি শত্রু হওয়া উচিত? তাদের কি একে অপরের প্রতি কোনও সৌজন্য থাকা উচিত নয়? এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। ডিউটি চলাকালীন এবং অফ ডিউটিতে বিভিন্ন আচরণ দেখানো যেতে পারে।'