উৎকর্ষ আনন্দ
ধর্মান্তকরণ আইন সম্পর্কিত সমস্ত মামলাকে একসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে আসার ব্যাপারে কার্যত সম্মত হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টে চলা মামলাগুলিকে একযোগে সুপ্রিম কোর্টে আনার ব্যাপারে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে এই সংক্রান্ত পিটিশনগুলি রয়েছে। সেগুলিকে সুপ্রিম কোর্টে এনে ফেলার ব্যাপারে বলা হচ্ছে।
দেশের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতিদের বেঞ্চ এনিয়ে কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে এই সংক্রান্ত মামলাগুলিকে একসঙ্গে করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হোক। কারণ এক্ষেত্রে কমন একটি ইস্যু কাজ করছে। সেই কমন ইস্যুর ক্ষেত্রে একজায়গা থেকেই বিচারকার্য হতে পারে।
এনিয়ে রাজ্য সরকারগুলিকে তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার মধ্যে তাদের জবাব দিতে হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল(এজি) আর বেঙ্কটারামানি জানিয়েছেন, গোটা বিষয়গুলিকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর আপত্তি রয়েছে। কারণ আইনের ব্যাপারগুলি রাজ্য ভিত্তিক। প্রাথমিকভাবে রাজ্যে হাই কোর্টগুলিকে এব্যাপারে নিষ্পত্তির সুযোগ দিতে হবে।
তিনি বিচারপতিদের বেঞ্চের সামনে জানিয়েছেন, আমি এই ট্রান্সফারে আপত্তি করছি। এই বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে হাইকোর্টকে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে হবে। পাশাপাশি গুজরাট,মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক, হরিয়ানার নজির তুলে ধরা হয়। সেখানে এই সংক্রান্ত মামলা বকেয়া রয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, হাই কোর্টকে যদি এব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হয় তবে দেশের শীর্ষ আদালতে আরও একদফা যাচাই করার সুযোগ রয়েছে। এদিকে জামায়তে উলেমা হিন্দ, সিটিজেনস ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস, পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ, ন্যাশানাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ওমেন সহ একাধিক সংগঠন এনিয়ে আবেদন করে জানিয়েছিল যাতে মামলাগুলিকে সুপ্রিম কোর্টে এনে ফেলা হয়।
অ্যাডভোকেট অশ্বিনী উপাধ্যায়ও এনিয়ে পিটিশন দাখিল করেছিলেন। আইনজীবী অরবিন্দ ডাটার অশ্বিনী উপাধ্যায়ের পক্ষে জানিয়েছেন, জোর করে ধর্মান্তকরণের বিষয়টি দেখার জন্য গোটা বিষয়টি আইন কমিশনকে জানানোর ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছিল।
তবে এক্ষেত্রে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, কেন ল কমিশনকে এনিয়ে আমরা নির্দেশ দেব? তাদের যেটা মনে হয় তারা সেটা করবেন। সরকার তাদের বলতে পারে। একটি বিশেষ বিষয়কে দেখার জন্য আমরা কেন তাদের বলব?
এদিকে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছেন, একবার আদালত কিছু বলার পরে ল কমিশন আর কিছু করতে পারে না।