মধ্যপ্রদেশের ভোপালে একটি স্কুলে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা সামনে এসেছে। এই তথ্য সামনে আসার পরই তোলপাড় শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, স্কুলে গরিব হিন্দু ছাত্রদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছিল। এ ব্যাপারে পুলিশও কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, বৈরাগড়ের ক্রাইস্ট মেমোরিয়াল স্কুলের ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে হিন্দু যুবক ও মেয়েদেরকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে অনুপ্রাণিত করার অভিযোগ উঠেছে। ধর্মান্তরণের জন্য নাকি তাদের বলা হয়েছিল, ‘যদি আপনি যীশুর আশ্রয় নেন, তাহলে আপনার জীবনের ঝামেলা দূর হয়ে যাবে। হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান হলে দারিদ্র্য দূর হবে।’ (আরও পড়ুন: নদীর তীরে তাজমহলের ভূগর্ভস্থ কক্ষগুলিতে লুকিয়ে কোন রহস্য? প্রকাশ্যে ছবি)
পুলিশ জানিয়েছে, বৈরাগড়ের বাসিন্দা মহেন্দ্র ওরফে ভিকি নাথ থানায় অভিযোগ করেন, স্কুলে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে যুবক, যুবতীদের। থানার ইনচার্জ ডিপি সিং জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে প্রচুর হিন্দু ছেলে-মেয়েকে যীশুর কাছে প্রার্থনা করতে দেখা যায়। পুলিশ জানায়, রাজেশ মালভিয়া নামে এক ব্যক্তি তাঁর ২৩ বছরের মেয়ে রিদ্দিকা মালভিয়াকে সঙ্গে নিয়ে লোকদের মাঝে প্রচার চালিয়ে বলতেন যে হিন্দু ধর্ম খারাপ এবং খ্রিস্টান ধর্ম ভালো।
পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলে পড়ুয়াদের এতটাই মগজ ধোলাই করা হয়েছে যে তারা এতে ভুল কিছু খুঁজে পাচ্ছে না। এই আবহে পড়ুয়ারা নাকি পুলিশের কাছেও প্রশ্ন করে যে ধর্ম পরিবর্তনে ক্ষতি কী। এই ক্ষেত্রে, পুলিশ সিহোরের বাসিন্দা রাজেশ মালভিয়া এবং তাঁর ২৩ বছর বয়সি মেয়ে রিদ্দিকা মালভিয়া, গান্ধী নগরের কামানি জন এবং ফান্দার বাসিন্দা পল পলিসকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং উসকানি দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে স্কুলের পরিচালক মানেস ম্যাথিউস পলাতক বলে জানা গিয়েছে।