বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য লাড্ডু বানানোর কথা ছিল, তার বদলে কাজু কাটলি বানিয়েছিলেন রাঁধুনি। তাই নিয়ে বচসার জেরে রাঁধুনিকে মারধর করার অভিযোগ উঠল। আঘাত পেয়ে শেষ পর্যন্ত হৃদরোগে মৃত্যু হল রাধুনীর। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের বানসকাঁথা জেলার ধনেরা তালুকের সমরভাদা গ্রামে। মৃত রাঁধুনির নাম সুখদেব প্রজাপতি (৪২)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বন্ধুর বিয়ের হুল্লোড়ের মাঝে আচমকা হার্ট অ্যাটাক যুবকের, মুহূর্তে মৃত্যু
জানা গিয়েছে, সুখদেব একজন পেশাদার রাঁধুনি। তিনি বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন এবং খাবার বানিয়ে থাকেন। তাই বিয়েতে ভোজ রান্নার জন্য দায়িত্ব পেয়েছিলেন সুখদেব। সমরবাদের বাসিন্দা দেব মহেশ্বরী নামে এক ব্যক্তি তার সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। তবে শনিবার কয়েকজন আত্মীয় দেখতে পান যে প্রজাপতি লাড্ডুর পরিবর্তে কাজু কাটলি তৈরি করেছেন। তা দেখেই ক্ষোভে ফুলে ফেঁপে ওঠেন দেব মহেশ্বরীর আত্মীয়রা। তখন তাদের সঙ্গে সুখদেব প্রজাপতির বচসা বাঁধে। তারা তিনজন মিলে প্রজাপতিকে গালিগালাজ করে। পরে তারা প্রজাপতিকে মারধর করে। আঘাত পেয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনায় তাকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে। তবে সেখানে গিয়ে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, প্রজাপতি দুটি অর্ডার পেয়েছিলেন। সেই কারণে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন এবং কাজু কাটলি বানিয়েছিলেন। এরফলে খরচও বেড়ে গিয়েছিল। তা নিয়েই তাদের মধ্যে বচসা বাঁধে। ধনেরা পুলিশের ইন্সপেক্টর এটি প্যাটেল বলেছেন যে লাড্ডু বানানো নিয়ে ঝগড়ার পর প্রজাপতির মৃত্যু হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। তার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে সুখদেবের। তবে তিনি যখন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সেই সময় বিড়ি খাচ্ছিলেন। সেরকমভাবে মারধর করা হয়নি বলেই দাবি করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হলে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলায় আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলায় সব দিক থেকে তদন্ত করা হচ্ছে।