করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সমস্ত পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মীর নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের। বুধবার এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে নিগ্রহ ও হেনস্থার খবর প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। এই প্রসঙ্গে অভিযোগের আঙুল উঠেছে তবলিঘি জামাত সংগঠনের একাধিক সদস্যের দিকে, যাঁরা স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেছেন বলে জানা যায়।
সম্প্রতি গাজিয়াবাদ হাসপাতালে এমনই ঘটনার জেরে দোষীদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। দুই মহিলা চিকিৎসকের উপরে আক্রমণের অভিযোগে মধ্য প্রদেশের ইন্দোরেও গ্রেফতার করা হয়েছে সাত জনকে।
বিহারের মুঙ্গের থেকেও অনুরূপ অভিযোগ এসেছে। সেখানে রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিশানা করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
যে সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে Covid-19 রোগীদের রাখা হয়েছে, সেখানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়ার নির্দেশও এ দিন দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
শুধু রোগী বা তাঁদের আত্মীয়-পরিজনদের আক্রমণই নয়, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহ করা নিয়েও উঠছে একাধিক অভিযোগ।
সম্প্রতি এমনই এক যৌথ অভিযোগপত্রে সই করেছেন মুম্বইয়ের বান্দ্রা অঞ্চলের কে বি ভাবা হাসপাতালের ১৫০ এর বেশি নার্স, প্যারামেডিক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এ দিন সুপ্রিম কোর্ট এমনই একগুচ্ছ আবেদনের শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্ত সংশ্লিষ্ট সমস্ত কর্মীকে পিপিই, মাস্ক ও হাজমত সুট সরবরাহ করতে হবে।