একেবারে মৃত্যুমিছিল। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ। বাংলা থেকে একেবারে ট্রেন বোঝাই করে প্রচুর যাত্রী যাচ্ছিলেন চেন্নাইতে, ওড়িশায়। পথে মৃত্যু এসে ছিনিয়ে নিল বহু প্রাণ। রাজ্য সরকারের দেওয়ার পরিসংখ্য়ান অনুসারে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৩১জন বাসিন্দার মৃত্য়ুর খবর মিলেছে। তাদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে ৫৪৪জন জখম হয়েছেন রেল দুর্ঘটনায়। ওড়িশার হাসপাতালে বাংলার ২৫জনকে ভর্তি করা হয়েছে । ১১জনকে পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পশ্চিববঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আমাদের নাড়িয়ে দিয়েছে। এই দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিবারকে সবরকম সহায়তা করা হবে। বালাশোর আর কটকের হাসপাতালগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাজভবন।
এদিকে বিশেষ ট্রেনে চাপিয়ে আহত ও দুর্গত যাত্রীদের একাংশকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়। সূত্রের খবর, বাংলা থেকে প্রচুর মানুষ ওই ট্রেনে চেপে ভিনরাজ্যে যাচ্ছিলেন। পথেই দুর্ঘটনা। কেউ বেঁচে ফিরলেন। কারোর নিথর দেহ ফিরবে এবার।
এদিকে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৯০জনেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে ৯০০ জনেরও বেশি জখম হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্য়া ৩০০ স্পর্শ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওড়িশার বালাশোরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছিল আপ ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রেলের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমসকে রেলের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, খড়্গপুর ডিভিশনের সিগন্যালিং রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার স্টেশন অতিক্রম করার পর লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এদিকে সেই লুপ লাইনে আগে থেকেই একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। তারপরই দুর্ঘটনা। কীভাবে হল দুর্ঘটনা, কেন এভাবে ঢুকে পড়েছিল যাত্রীবাহী ট্রেন ,সবটা নিয়েই হবে তদন্ত।