এবার করমণ্ডল দুর্ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে খোলা চিঠি দিলেন অবসরপ্রাপ্ত আমলা, প্রাক্তন সেনা আধিকারিক ও বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রাক্তন সদস্যরা। রেলে নাশকতার ক্ষেত্রে বেড়ে চলা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন তারা। সেই চিঠিতে তাঁরা উল্লেখ করেছেন,বালাশোর ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে মানুষের হাত থাকতে পারে। কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্তর্ঘাতমূলক কাজ হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে চিঠিতে। রেল ট্রাকে যাতে নাশকতামূলক কাজ না হয় সেটা দেখার জন্য তাঁরা মোদীকে অনুরোধ করেছেন।
সেই খোলা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমাদের মধ্য়ে কয়েকজন জঙ্গি প্রতিরোধে কাশ্মীরে, উত্তর পূর্বে কাজ করেছেন। এই ধরনের অন্তর্ঘাতমূলক কাজের সঙ্গে আমরা পরিচিত। ১৯৯০ সালে পাঠানকোট থেকে জম্মু পর্যন্ত লাইনে একাধিক এই ধরনের হামলা হয়েছিল। এতে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। উল্লেখ করা হয়েছে পূর্ব ও উত্তর পূর্বের রেললাইন বিশেষত তথাকথিত চিকেন নেকেও নানা আশঙ্কা রয়েছে।
সব মিলিয়ে ২৭০জন স্বাক্ষর করেছেন চিঠিতে। ১৪জন আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি। ১১৫জন প্রাক্তন আমলা আর ১১৪জন প্রাক্তন সেনা আধিকারিক।তবে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অবশ্য বালাশোরের ঘটনাকে এখনও অন্তর্ঘাতমূলক বলে উল্লেখ করেননি।
এদিকে এনিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ১০ সদস্যের সিবিআই টিম এলাকায় গিয়েছিল। তারা এফআইআর দায়ের করেছে। কোথাও কারোর গাফিলতি ছিল কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। তবে এবার বিশিষ্টজনেরা খোলা চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁদের আশঙ্কা এটা সাবোতেজ হতে পারে। এনিয়ে অতীতের নজিরও তাঁরা হাজির করেছেন। পাশাপাশি রেললাইনের সুরক্ষার জন্য তাঁরা বিশেষ অনুরোধ করেছেন।
বালেশ্বরের রেল দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্য়েই কার্যত মৃত্যু মিছিল। মৃতের সংখ্য়া প্রায় ৩০০। অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনকে পাচ্ছেন না। তবে তার মধ্য়েই ওই লাইনে ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। সিবিআই তদন্ত চলছে। তার মধ্য়েই সামনে এল খোলা চিঠি। সেখানে নাশকতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।