বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Coromandel Express Accident: 'বাবা বেঁচে আছি…', ওড়িশার অস্থায়ী মর্গ থেকে জীবন্ত ছেলেকে পেলেন হাওড়ার বাবা

Coromandel Express Accident: 'বাবা বেঁচে আছি…', ওড়িশার অস্থায়ী মর্গ থেকে জীবন্ত ছেলেকে পেলেন হাওড়ার বাবা

ওড়িশায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার পরে তৎপর উদ্ধারকারীরা (Photo by Punit PARANJPE / AFP) (AFP)

হাওড়ায় ছোট্ট একটি দোকান রয়েছে বিশ্বজিতদের। দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরেছিলেন হেলারাম। এরপরই তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। ওই ট্রেনে যে তাঁর ছেলেও রয়েছে। এরপরই তিনি আর দেরি করেননি।

বিশ্বজিৎ মালিক। বয়স মাত্র ২৪। করমণ্ডলের সেই অভিশপ্ত ট্রেনের কামরায় ছিলেন তিনিও। পরে তার আর কোনও খোঁজ মিলছিল না। এদিকে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন হয়তো দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু বিশ্বজিতের বাবা হেলারাম মালিকের মন কিছুতেই মানছিল না। তাঁর মনের কোণায় কোথাও যেন এই আশা ছিল বিশ্বজিৎ বেঁচে আছে। 

এরপর শুরু হয় খোঁজ। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি? 

হাওড়ায় ছোট্ট একটি দোকান রয়েছে বিশ্বজিতদের। দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরেছিলেন হেলারাম। এরপরই তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। ওই ট্রেনে যে তাঁর ছেলেও রয়েছে। এরপরই তিনি আর দেরি করেননি। ফোন করেন ছেলের ফোনে। সেই ফোন ধরেন বিশ্বজিৎ। তিনি খুব কষ্ট করে বলেছিলেন বাবা বেঁচে আছি। আর দুবার ভাবেননি হেলারাম। স্থানীয় অ্য়াম্বুলেন্স চালক পলাশ পণ্ডিত, শ্য়ালক দীপক দাসকে সঙ্গে নিয়ে ওই রাতেই বেরিয়ে পড়েন বালাশোরের দিকে। প্রায় ২৩০ কিমি ওই রাতে তাঁরা ঘুরেছেন। কিন্তু বিশ্বজিৎ কোথায় গেল? 

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, হাল ছাড়েননি হেলারাম। একের পর এক হাসপাতালে খোঁজ করা শুরু করেন তিনি। কিন্তু কোথাও নেই। এদিকে বাহানাগা হাই স্কুলে ততক্ষণে মৃতের স্তুপ। কিন্তু বিশ্বজিৎ তো বলেছিল বেঁচে আছি বাবা। এই কথাটুকুই ভরসা। 

স্থানীয় এক বাসিন্দা হেলারামকে বলেছিলেন, আপনি বাহানাগা স্কুলে চলে যান। ওখানেই অস্থায়ী মর্গ তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিশ্বজিৎ মারা গিয়েছে এটা কিছুতেই মানতে চাননি বাবা। 

তবুও কিছুটা জোর করেই তিনি যান ওই স্কুলে। সেখানে পর পর দেহ শোয়ানো রয়েছে। কিন্তু কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এমন সময় শোরগোল। একটি দেহের ডান হাত নাকি নড়ে উঠেছে। ছুটে যান হেলারাম। গিয়ে দেখেন এটা তো বিশ্বজিতের হাত। এরপর আর দেরি করেননি তিনি। ওখান থেকে ছেলেকে তুলে নিয়ে তিনি প্রথমে বালাশোর হাসপাতালে। সেখান থেকে কটক হাসপাতালে। এরপর সেখান থেকে বন্ডে সই করে তিনি নিয়ে আসেন এসএসকেএমে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে এমন একটা শারীরিক পরিস্থিতির মধ্য়ে বিশ্বজিৎ পড়েছিলেন যে তাঁর শারীরিক অধিকাংশ ক্রিয়া বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু বেঁচে ছিলেন তিনি।

তবে ডান হাত ভেঙে গিয়েছে। সেটাই কেঁপে উঠেছিল। বরাত জোরে ছেলের খোঁজ পেলেন বাবা। নাহলে কী হত ভাবতেই শিউরে উঠছেন হেলারাম। 

পরবর্তী খবর

Latest News

রেডিয়াম জ্যাকেট পরে কারা ইউটিউবারের বাড়িতে নর্দমার জল, মানুষের মল ফেলে গেল? ‘স্রোতে গা ভাসিয়ে ঘটনাটা ঘটিয়ে ফেলেছি’ যৌন বিতর্কে পুলিশের কাছে ক্ষমা চাইলেন সময় থানার ভিতরেই সালিশ ডেকে যুবককে অপমান, থানা চত্বরেই দেহ উদ্ধারে অভিযোগ পরিবারের অক্ষর টস জিততেই তাঁর উপর জোর করে প্রথমে ব্যাটিং চাপাতে চেয়েছিলেন পন্ত- ভিডিয়ো RG কর কাণ্ডে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার দাবি, CBI দফতর অভিযান ডাক্তারদের তুলসী মূলের এই উপায়ে খুলবে ভাগ্যের বন্ধ দরজা, সাফল্যের পথ হবে প্রশস্ত মেলবোর্নে কনসার্টে ঢুকতে ৩ঘণ্টা দেরি, দর্শকদের অপমানে কাঁদলেন অপমানিত নেহা কক্কর জিনপিংয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন ইউনুস! আলোচনার টেবিলে কী কী রাখতে পারে কৌশলী বেজিং? ছবি মুক্তির আগেই বিক্রি! কে কিনল অজয়ের ‘রেইড ২’-এর স্বত্ব? ছত্তিশগড়ে আবারও সফল মাওদমন অভিযান, এনকাউন্টারে খতম ৩ মাওবাদী, দাবি পুলিশের

IPL 2025 News in Bangla

অক্ষর টস জিততেই তাঁর উপর জোর করে প্রথমে ব্যাটিং চাপাতে চেয়েছিলেন পন্ত- ভিডিয়ো 'মিনি হার্ট অ্যাটাক' হতেই থাকবে, দিল্লি সমর্থকদের নিশ্চিন্ত হতে মানা করলেন অক্ষর ‘সিঙ্গল নাও, ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করে দেব’, ১১ নম্বরের কাছে মিনতি আশুতোষের এই প্রথম '২০০ টপকে' হারল LSG, সর্বাধিক রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের নতুন রেকর্ড DC-র দিল্লিকে জিতিয়ে সুইচ হিট সেলিব্রেশন আশুতোষের, আঙুল তুলে কাকে বার্তা দিতে চাইলেন? রুদ্ধশ্বাস জয়ে পয়েন্ট তালিকার সেরা ৪-এ দিল্লি, শীর্ষে রয়েছে কারা? KKR কত নম্বরে? গোয়েঙ্কা ওয়েট করছেন! পন্তের ভুলে LSG হারতেই মিমের বন্যা, নেটপাড়া বলল ‘সামলে….’ IPL- ‘আমি জানতাম ম্যাচ জিতিয়ে দেব’, বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে LSGকে উড়িয়ে বললেন আশুতোষ বড় নামেদের ব্যর্থতার ভিড়ে, অঙ্ক কষে লড়াই আশুতোষের, একা ম্যাচ জেতালেন দিল্লিকে কেউ নেয়নি, বদলি হয়েই প্রথম ওভারে ২ উইকেট শার্দুলের, LSG-র ২ অনামী স্পিনার কারা?

Copyright © 2025 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.