বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Coromandel Express Accident: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় খোঁজ পাচ্ছেন না প্রিয়জনের? ১৩৯ হেল্পলাইনে এবার বিশেষ ব্যবস্থা

Coromandel Express Accident: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় খোঁজ পাচ্ছেন না প্রিয়জনের? ১৩৯ হেল্পলাইনে এবার বিশেষ ব্যবস্থা

দুর্ঘটনার পরে কাকার খোঁজ পাচ্ছেন না এই ব্যক্তি। (PTI Photo/Swapan Mahapatra) (PTI)

এই পরিষেবা একেবারে বিরতিহীনভাবে চলতে থাকবে। এদিকে এই ১৩৯ পরিষেবাতে ফোন করলে আপনি সঠিক খবর পাবেন বলে জানানো হয়েছে।

ওড়িশায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বহু যাত্রীর মৃত্য়ু হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায়। অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনদের খুঁজে পাচ্ছেন না। অনেকে আবার সঠিক একটু তথ্যের জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছেন। কীভাবে আহতদের চিকিৎসা হবে, কীভাবে ক্ষতিপূরণ মিলবে, নিখোঁজ প্রিয়জনদের খোঁজ কোথায় মিলবে এনিয়ে কার্যত বিভ্রান্ত অনেকেই। এবার তাঁদের জন্য হেল্পলাইন পরিষেবাকে আরও উন্নত করার উদ্যোগ নিল রেল।

পিআইবির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে,  ১৩৯ হেল্পলাইন নম্বর নিয়ে এবার বিশেষ ব্যবস্থা করছে রেল। মৃতদের পরিবার, তাঁদের পরিজন, বন্ধু বান্ধবরা যাতে সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য় পান সেজন্য় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পিআইবির রিপোর্ট অনুসারে  সিনিয়র অফিসারদের টিম ২৪ ঘণ্টা এই হেল্পলাইনের উপর নজর রাখছেন। সমস্ত জোনাল রেলওয়ে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে রেল।

সেই সঙ্গেই এই পরিষেবা একেবারে বিরতিহীনভাবে চলতে থাকবে। এদিকে এই ১৩৯ পরিষেবাতে ফোন করলে আপনি সঠিক খবর পাবেন বলে জানানো হয়েছে। সঠিক সময়ে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে তথ্য় পৌঁছে দেওয়া যায় তার ব্য়বস্থা করা হচ্ছে এই হেল্পলাইনের মাধ্যমে। 

অন্যদিকে রেলমন্ত্রক যে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে সেটা তুলে দেওয়া হবে। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা,  গুরুতরভাবে যারা জখম হয়েছেন তাদের জন্য় ২ লাখ টাকা করে ও অল্প জখম যারা হয়েছেন তাদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা করা হবে। 

পিআইবির প্রতিবেদন অনুসারে এখনও পর্যন্ত রেলওয়ে এখনও পর্যন্ত ২৮৫টি ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ৩.২২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। ১১জনের মৃত্যুর ক্ষেত্রে, ৫০জনের গুরুতর জখমের ক্ষেত্রে ও ২২৪জনের সামান্য জখমের ক্ষেত্রে এই অর্থ সহায়তা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৭টি লোকেশন থেকে এই অর্থ সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে রেল। সেই সাতটি লোকেশন হল সোরো, খড়্গপুর, বালাশোর, খান্তাপাড়া, ভদ্রক, কটক, ভুবনেশ্বর। 

প্রসঙ্গত দুর্ঘটনার পরেই বিভিন্ন জায়গায় রেলের তরফে হেল্পলাইন খোলা হয়। এমনকী বাংলা ও ওড়িশা সরকারের তরফেও হেল্পলাইন খোলা হয়।

 

বন্ধ করুন