করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছে দুর্ঘটনা। কিন্তু যারা টিকিট না কেটেই ট্রেনে উঠেছিলেন তাঁদের পরিবার কি ক্ষতিপূরণ পাবেন? অনেকে টিকিট না কেটেই জেনারেল কামরায় উঠে পড়েন। তাঁদের কি হবে? তবে রবিবার রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, টিকিটবিহীন যাত্রীরা ও তাঁদের পরিবারও ক্ষতিপূরণ পাবেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারেই এই ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা।
রেলের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা জানিয়েছেন, কার টিকিট ছিল অথবা টিকিট ছিল না এই ঘটনা নির্বিশেষে সকলেই ক্ষতিপূরণ পাবেন।
অন্যদিকে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আহত বা মৃতদের পরিবারের সদস্যরা প্রয়োজনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তাঁদের যাতায়াতের ব্যবস্থা আমরা করব। ১৩৯ নম্বরে সবসময় সিনিয়র আধিকারিকরা রয়েছেন। কোনওভাবেই যাতে তাঁদের সমস্যা না হয় সেটা দেখা হচ্ছে।
এদিকে এখনও মৃত পরিজনদের দেহ পেতে হন্য়ে হয়ে ঘুরছেন অনেকেই। চিকিৎসাধীনদের চিকিৎসা চলছে। প্রিয়জনকে খুঁজে পেতে অনেকেই যাচ্ছেন হাসপাতালে। এক হাসপাতাল থেকে অপর হাসপাতালে খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। কোথাও নেই। কোথায় গেলেন তাঁরা? এদিকে মর্গেও যাচ্ছেন তাঁরা। যদি সেখানে তাঁদের দেহটুকু অন্তত পাওয়া যায়।
একেবারে দিশেহারা অবস্থা তাঁদের। তবে রেল দুর্ঘটনা নিয়ে যাতে কেউ কোনও গুজব না ছড়ান সেটা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
তবে ওড়িশা পুলিশের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, এটা দেখা যাচ্ছে যে কিছু সোশ্যাল মিডিয়া হ্য়ান্ডেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।
এই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে জিআরপি-ওড়িশার পক্ষ থেকে কাজ চলছে। জানিয়েছে ওড়িশা পুলিশ।
ওড়িশা পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে, কোনও ধরনের মিথ্য়ে, খারাপ উদ্দেশ্য় নিয়ে কোনও কিছু পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন। গুজব ছড়িয়ে যারা সাম্প্রদায়িক অশান্তি বাঁধাতে চাইছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হুঁশিয়ারি ওড়িশা পুলিশের।
সব মিলিয়ে রেল দুর্ঘটনা বহু পরিবারে বিপর্যয় নামিয়ে এনেছে। কীভাবে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবেন তারা সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না।