ক্রমশ ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। বিশ্বব্যাপী সূচকে পতন। বাদ নেই ভারতও। একই দিনে ১৪৪৮ পয়েন্ট পড়ল বাজার। এই নিয়ে লাগাতার ছয় দিন পড়ল সূচক। ৩৮,২৯৭ পয়েন্টে বন্ধ হল সূচক। এটি সেনসেক্সের ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম পতন। ২০১৫ সালের ২৪ অগস্ট ১৬২৪ পয়েন্ট পড়েছিল বিএসই। এই সপ্তাহে ৬.৯৭ শতাংশ পতন হয়েছে বিএসইতে। ৫.৪৫ লক্ষ কোটির ক্ষতি হয়েছে লগ্নিকারীদের এদিন।
এদিন নিফটি পড়েছে ৪৩১.৫৫ পয়েন্ট, বাজার বন্ধ হয় ১১২০১.৭৫ পয়েন্টে। চলতি সপ্তাহে ৭.২৭ শতাংশ পড়েছে নিফটি।
এদিন আইটিসি ছাড়া সেনসেক্সের ৩০টি স্টকের একটিও লাভের মুখ দেখেনি। টেক মহিন্দ্রা, টাটা স্টিল, মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা, এইচসিএল টেক প্রভৃতির শেয়ারে বড় পতন হয়েছে। FPI-রা যেভাবে শেয়ার বিক্রি করছে, তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন লগ্নিকারীরা।
সাংঘাই, হংকং, সিওল, টোকিও - সব শেয়ার বাজারেই বিশাল পতন দেখা গিয়েছে এদিন। ওয়াল স্ট্রিটে ডাও জোন্সে ১১৯০ পয়েন্ট পড়েছে সূচক। সবমিলিয়ে করোনা আতঙ্কে ২০০৮ সালের পরে সবচেয়ে সংকটের মুখে বিশ্ববাজার।
করোনাভাইরাসের এখনই ভারতীয় অর্থনীতিতে কোনও প্রভাব পড়েনি, আশ্বাস দিচ্ছেন স্বয়ং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু তাতে বিশেষ ভরসা পাচ্ছে বাজার, এমন কোনও ইঙ্গিত নেই। বিশ্বব্যাপী বাজারে ধসের সঙ্গেে তাল মিলিয়ে এদিনও বিশাল পতন হয়ে সূচকে।
ভারতে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তবে ইতিমধ্যেই তারা অনেকটা সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। অনেক ব্যক্তি পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের প্রভাব চিন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে গিয়েছে। ইরানে করোনায় মৃতের সংখ্যা কুড়ি ছাড়িয়েছে।