করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির গুরুতর শারীরিক সমস্যা না হলে হোম আইসোলেশনই নিয়ম। সেই হোম আইসোলেশন নিয়েই নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার।
নয়া গাইডলাইনে বলা হয়েছে হোম আইসোলেশনের পর সুস্থতার লক্ষণ দেখা দিলে ফের করোনা টেস্টের কোনও প্রয়োজন নেই। তাছাড়া করোনা আক্রান্ত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্যও পরামর্শ রয়েছে কেন্দ্রের গাইডলাইনে।
এক নজরে জেনে নিন কেন্দ্রের হোম আইসোলেশনের নয়া গাইডলাইন :
যে ঘরে কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি থাকবেন সেটি যেন খোলামেলা হয়। অর্থাত্ জানলা-দরজা দিয়ে যেন হাওয়া-বাতাস আসে।
করোনা আক্রান্তকে সব সময়ে ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরে থাকতে হবে। মাস্ক নোংরা হলেই বা ৮ ঘণ্টা পার হলেই ফেলে দিয়ে নতুন মাস্ক পরতে হবে।
মাস্ক ফেলার সময়েও সাবধান হতে হবে। সেটি সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটে ধুয়ে, জীবাণুমুক্ত করে তবেই ফেলে দিতে হবে।
আক্রান্ত ব্যক্তির যিনি দেখভাল করবেন, সেই পরিবারের সদস্যদের জন্যও নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে আসার সময়ে N95 মাস্ক পরা যেতে পারে।
আক্রান্ত ব্যক্তি রোজ গরম জলে গার্গেল করতে পারেন। দিনে দুইবার গরম জলের ভাপ নিলেও আরাম পাবেন।
জ্বর কমানোর জন্য দিনে ৪ বার প্যারাসিটামলের ৬৫০ ডোজ নেওয়ার পরেও সুরাহা না হলে সাবধান হতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। উনি সেক্ষেত্রে বিশেষ ওষুধ দেবেন।
রেমডিসিভিরের মতো ওষুধ হোম আইসোলেশনের জন্য কখনই নয়। চিকিত্সাকেন্দ্র ছাড়া এর প্রয়োগ একেবারেই অনুচিত্।
১০ দিন আইসোলেশনের পর যদি টানা ৩ দিন জ্বর না থাকে, তবেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা যাবে। এরপর টেস্টিংয়েরও কোনও প্রয়োজন নেই।
তবে, হোম আইসোলেশনে শ্বাসকষ্ট হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।