মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৪৯। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি দুইজন। পরিস্থিতি সামলাতে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বেরোতে নাগরিকদের মানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এমনই হাল খারাপ যে মুম্বইয়ে ডাব্বাওয়ালারাও নিজেদের পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন।
উদ্ধব বলেন যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতার জন্য সবার সাহায্যের প্রয়োজন। তবে প্রত্যয়ের সঙ্গে ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে হবে, আতঙ্কিত হয়ে লাভ নেই বলে জানান উদ্ধব ঠাকরে।
একই সঙ্গে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, অকারণে যাতায়াত বন্ধ করুন। যানবাহনে ভিড় করা যাবে না বলে, সাফ জানান উদ্ধব। এখনই ট্রেন, বাস তারা বন্ধ করতে চান না বলেই জানান উদ্ধব। কিন্তু পরিষেবা চালু রাখার জন্য মানুষের সহযোগিতার আর্জি জানান তিনি।
উদ্ধব বলেন যে এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যদফতরের লোকজন, পুুলিশ ইত্যাদি সবাই মানুষের জন্য কাজ করছেন। সেখানে আম নাগরিকদের ঘরে থেকে সহায়তা করতে বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সহযোগিতার জন্য তাঁর কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি। স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লোকদের তুলনা করেন উদ্ধব।
গুজবে কান না দিতে ও শুধু সরকারের জানানো তথ্যের ওপর মানুষকে বিশ্বাস করতে বলেছেন উদ্ধব। কোনও অবস্থাতেই বাইরের দেশে যাওয়ার ইতিহাস লুকিয়ে রাখা উচিত নয় বলে জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে মুম্বইয়ের ডাব্বাওয়ালারা জানিয়েছেন যে আপাতত ৩১ মার্চ অবধি টিফিন পরিষেবা বন্ধ রাখবেন তারা। ডাব্বাওয়ালা সংগঠনের মুখপাত্র বলেছেন যে রাজ্য সরকারের ঘরে থাকার আহ্বানকে সম্মান জানিয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে ডাব্বাওয়ালারা যেভাবে ট্রেনে করে টিফিন নিয়ে চলেন, তাদের সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বেশি, বলেও সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
কাজের দিনে ৫০০০ ডাব্বাওয়ালা প্রায় দুই লক্ষ মানুষের কাছে টিফিন পৌঁছে দেন। বর্তমানে প্রায় ৪৫ কোটি টাকার ব্যবসা এটি। নিঁখুত পরিষেবা ও সবার কাছে ঠিক টিফিন পোঁছে দেওয়ার জন্য নাম করেছেন ডাব্বাওয়ালারা। করোনার গ্রাসে সেই ডাব্বাওয়ালাদেরও নিজেদের কাজ মুলতুবি করতে হচ্ছে।