পাঁচদিন আগেই নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছিল করোনা মাতার মন্দির। উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ে নির্মাণ করা হয়েছিল এই মন্দির। তবে নির্মাণের একসপ্তাহ যেতে না যেতেই মন্দিরটি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল। এই ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসীরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পুলিশের দিকে। যদিও প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সেই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
গত ৭ জুন এই করোনা মাতার মন্দিরটি খুলে দেওয়া হয় জনসাধারণের জন্য। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অনুদান নিয়ে এটি তৈরি করেছিলেন লোকেশ কুমার শ্রীবাস্তব। স্থানীয় পুরোহিত রাধেশ্যাম বর্মাকে এই মন্দিরের পুজোর দায়িত্বও দেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার এটিকে ভেঙে ফেলা হয়। ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের দাবি, মন্দিরটি বিবাদপূর্ণ স্থানে তৈরি করা হয়েছিল। বিবাদে জড়িত কেউ এই মন্দিরটি ভেঙে ফেলে।
উল্লেখ্য, মন্দির নির্মাণকারী লোকেশ নিজে নয়ডায় থাকেন। তিনি ছাড়াও এই জমিটির মালিকানা রয়েছে নাগেশ কুমার শ্রীবাস্তব এবং জয় প্রকাশ শরীবাস্তবের সঙ্গে। নাগেশ এই মন্দির নির্মাণটি মেনে নেয়নি। পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ জানান, এই জমি কেড়ে নিতেই মন্দিরটি তৈরি করা হয়। এদিকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এজিকে লোকেশের অভিযোগ, 'মন্দিরের দরজা খুলতেই এখানে প্রচুর ভক্ত সমাগম হচ্ছিল। তা ভালো চোখে নেয়নি পুলিশ। তাই পুলিশ এই মন্দিরটি ভেঙে দেয়। আমরা এই বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হব।'