বাংলাদেশে অবশেষে শুরু হচ্ছে ছোটদের টিকাকরণ। আগামী সপ্তাহ থেকেই চালু হচ্ছে শিশুদের এই ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রবিবার, ৭ গস্ট এমনই ঘোষণা করেছেন। চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে শুরু হবে টিকাকরণের প্রক্রিয়া। ফাইজারের টিকা পৌঁছেছে বাংলাদেশে। এই টিকাই দেওয়া হবে ওপার বাংলার শিশুদের।
ভারতের পড়শি দেশে ইতিমধ্যে বড়দের টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন সেদেশের সরকার ৫ থেকে ১১ বছর বয়স অবধি শিশুদের টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। হাসিনার সরকার জানিয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ১১ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে এই টিকাকরণের প্রক্রিয়া। গণহারে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে ‘মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’ উদ্বোধন করেন সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তারপর তিনি শিশুদের টিকা দেওয়ার কথা জানান।
গত ৩০ জুলাই বাংলাদেশে ফাইজারের ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা এসেছে। এপ্রিল মাসেই বাংলাদেশ সরকার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া হবে এমন কথা জানিয়েছিল। এবার সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। ৪ কোটি ৪০ লাখ শিশু আছে বাংলাদেশে যাদের বয়স ৫ থেকে ১১ বছর। এই শিশুদের দুটো ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য মোট ৮ কোটি ৮০ লাখ ডোজ লাগবে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্রে জানানো হয়েছে কোভ্যাক্স ফেসিলিটির আওতায় এই ভ্যাকসিন পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান বাংলাদেশে এখনও যাঁরা করোনার কারণে মারা যাচ্ছেন তাঁরা কেউই করোনার টিকা নেননি। বাংলাদেশে আজ অবধি ২০ লাখ ৭ হাজার ১১৯ জনের দেহে করোনার জীবাণু ধরা পড়েছে। এই রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৭ জন সুস্থ হয়েছেন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম করোনা কেস ধরা পড়ে।