আগে দেশবাসীর করোনা টিকার চাহিদা মিটুক। সেটা পূরণ হওয়ার পর অতিরিক্ত থাকলে তবেই রফতানি করা হবে। অন্যান্য দেশকে করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করার বিষয়ে এমনই নীতি কেন্দ্রের। বুধবার ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে মিলল এমনটাই খবর।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, 'এর মানে রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। আগে দেশের চাহিদা মেটানো হবে। তারপর অতিরিক্ত ডোজ থাকলে তা অবশ্যই অন্য দেশকে দিয়ে সাহায্য করবে ভারত।' তবে এ বিষয়ে আপাতত দুই মাস পর ভাবনাচিন্তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে তৃতীয় দফার টিকাকরণ। এই পর্যায়ে ৪৫ বছরের বেশি যাঁদের বয়স, তাঁদের করোনা টিকাকরণ হবে। কেন্দ্র জানিয়েছে নয়া পর্যায়ের জন্য অতিরিক্ত ভ্যাকসিনের জোগান প্রস্তুত। সেদিকে কোনও সমস্যা নেই।
ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৭৬টি দেশে মেড-ইন-ইন্ডিয়া পাঠিয়েছে ভারত। প্রায় ৬ কোটি ডোজ পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন করোনা আক্রান্ত দেশে। এর মধ্যে বেশিরভাগ টিকাই সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড।
এর মধ্যে ৮৫ লাখ ডোজ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী সাহায্য হিসাবে পাঠানো হয়ছে। ৩.৪ কোটি করোনা ভ্যাকসিন ডোজ বিক্রি করেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, গত ১৮ মার্চ শেষবার ভ্যাকসিন রফতানি করেছে ভারত। পাঠানো হয়েছে নামিবিয়া ও বলিভিয়ায়। এখনও পর্যন্ত ভারতে ৫.১ কোটিরও বেশি ব্যক্তি করোনা টিকা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে ৪.৭ কোটি ডোজ কোভিশিল্ডের। বাকিগুলি কোভ্যাক্সিন।