শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে তৃতীয় ফেজ। এই পর্যায়ে চলবে পঞ্চাশোর্ধ্বদের টিকাকরণ। ষাটোর্ধ্ব ও কো-মরবিডিটি যুক্ত পঁয়তাল্লিশোর্ধ্বদের পর এবার শুরু হবে এই তৃতীয় ফেজ।
ন্যাশানাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সংক্ষেপে NEGVAC-এর ব্লু-প্রিন্ট মেনেই চলছে টিকাকরণ। সেই ছক অনুযায়ী প্রথমেই টিকা পেয়েছেন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। অর্থাত্ চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিসকর্মী ইত্যাদি পেশার মানুষদের। এমন মানুষের মোট সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি।
এর পরেই বর্তমানে চলছে দ্বিতীয় ফেজের টিকাকরণ। এক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা করোনা সংক্রমণে ঝুঁকি বেশি তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এই পর্যায়ে টিকাকরণ হচ্ছে ষাটোর্ধ্ব ও পয়তাল্লিশের উর্ধ্বে কো-মরবিডিটি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের। এর পরেই অগ্রাধিকারের সিঁড়িতে রয়েছেন ৫০ উর্ধ্ব ব্যক্তিরা।
'ভারত কোনও ছোট দেশ নয়। জনসংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রায় ১৩০ কোটি মানুষকে একই সঙ্গে টিকাকরণ করা অসম্ভব। তাই সরকারকে অগ্রাধিকারের পথে হাঁটতে হয়েছে। যাঁরা সরাসরি করোনা মোকাবিলায় কাজ করছেন, তাঁদেরকে স্বাভাবিকভাবেই তালিকার শুরুতে রাখা হয়। তারপর যখন সাধারণ মানুষের জন্য সেটা চালু হল, তখন বয়স ও স্বাস্থ্যের ভিত্তিতে অগ্রাধিকারের প্রক্রিয়া শুরু হল,' জানালেন এক সরকারি আধিকারিক।
তিনি আরও বলেন, 'এখন বহু মানুষ এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। প্রক্রিয়ায় গতিও ভালই এসেছে। তাই এবার তৃতীয় ফেজ অর্থাৎ ৫০-এর উর্ধ্বে বয়সীদের জন্য টিকাকরণ শুরু করার বিষয়ে ভাবছে সরকার। পরিকাঠামোর দিক থেকে সবুজ সংকেত মিললেই এই নতুন ধাপের কাজ শুরু হয়ে যাবে।'
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর এক বিবৃতিতে জানায় যে একদিনে ২০ লক্ষ্য ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। করোনা ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রে এক নতুন নজির স্থাপন করল কেন্দ্রীয় সরকার।