করোনাভাইরাস আক্রান্ত গুগলকর্মীর স্ত্রী পালাননি। তাঁর সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বলে দাবি করলেল যুবতীর স্বামী বছর ছাব্বিশের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী।
শনিবার কর্নাটকের স্বাস্থ্য শিক্ষা মন্ত্রী কে সুধাকর জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরু থেকে তাঁর স্ত্রীর আগ্রায় বাপের বাড়িতে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলেননি Covid-19 আক্রান্ত গুগলকর্মী।
সম্প্রতি কর্নাটক স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল যে, মধুচন্দ্রিমায় ইতালি, গ্রিস ও ফ্রান্স ভ্রমণ করে মুম্বই হয়ে বেঙ্গালুরু ফেরেন নববিবাহিত দম্পতি। সেখানে গুগলকর্মী স্বামী কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন বেঙ্গালুরু থেকে পালিয়ে আগ্রায় বাপের বাড়ি চলে যান ওই যুবতী, এমনই জানিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
শনিবার সুধাকর জানিয়েছেন, মুম্বই থেকে রাত ৯.৪৫ নাগাদ বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে পৌঁছন ওই দম্পতি। সেখান থেকে তাঁর স্বামী বিদায় নিলেও বিমানবন্দরেই থেকে যান যুবতী। রাত ১.৪০ নাগাদ তিনি ফের দিল্লিগামী বিমানে উঠে পরের দিন ভোর ৪.২৫ নাগাদ দিল্লি পৌঁছন। এরপর সকাল ৮.১০ সময় গতিমান এক্সপ্রেসে চেপে তিনি আগ্রা যান।
কর্নাটক স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরস্পরবিরোধী বিবৃতি থেকে স্পষ্ট যে, Covid-19 আক্রান্ত মহিলা সম্পর্কে তাদের কাছে সঠিক তথ্য গোড়ায় ছিল না। এই কারণে, তার উপরে ভিত্তি করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছে টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট।
পরে আগ্রা থেকে ওই যুবতী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় রাখার ব্যবস্থা করে উত্তর প্রদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে পাঁচ ঘণ্টা কাটানোর সময় যে সমস্ত ব্যক্তি ওই যুবতীর সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের সবাইয়ের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখা হয়েছে। কীটনাশক ব্যবহার করে সাফ করা হয়েছে বিমানবন্দর ও রেলওয়ে স্টেশন এবং ট্রেনের কামরাও।
এদিকে কর্নাটকের স্বাস্থ্য শিক্ষা মন্ত্রী কে সুধাকর জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েও তা কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট দম্পতির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হতে পারে। তবে তাঁরা সুস্থ হয়ে ওঠার পরেই এই বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।