নতুন বছরে ২০ দিনেই ২ লক্ষ মানুষ বাড়িতে বসেই ‘হোম টেস্ট কিটে’ করোনা পরীক্ষা করেছেন
করোনা আবহে জনসাধারণে পরীক্ষা করানোর বিষয়ে সচেতনতা বেড়েছে। কেন্দ্রের এক তথ্যে এমনই ইঙ্গিত মিলছে। আগে করোনার উপসর্গ হলেই পরীক্ষা করাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা দেখা দিত। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে পরীক্ষা করাতে হত বলেই অনেক ক্ষেত্রে এই অনীহা ছিল। না হলে প্রাইভেটে বেশি খরচেও পরীক্ষা করানো যায়। তবে তাতে চাপ পড়ে পকেটের উপরই। তবে এই মুশকিল আসান করতেই বাজারে এসেছিল করোনার হোম টেস্ট কিট। তবে এই কিট ব্যবহারে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি ভারতীয়দের মধ্যে। তবে নতুন বছরে চিত্রটা আমূল পাল্টে গিয়েছে। গতবছর যেখানে ৩৬৫ দিনে মাত্র ৩ হাজার হোম টেস্ট হয়েছিল, সেখানে ২০২২ সালের প্রথম ২০ দিনই দেশে ২ লক্ষবার হোম টেস্ট কিটের ব্যবহার হয়েছে।
গতকাল আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ বলরাম ভার্গব বলেন, ‘দেশে করোনা পরীক্ষার অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। আরটিপিসিআর হোক কি ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট, আরএনএ টেস্ট কিট হোক বা বাড়িতে বসে টেস্ট করানোর কিট, দেশে কোনওটারই অভাব নেই বর্তমানে। গতবছর যেখানে মাত্র ৩ হাজার হোম টেস্ট হয়েছিল, এবছর প্রথম ২০ দিনে ২ লক্ষ হোম টেস্ট কিট ব্যবহার করা হয়েছে।’
এদিকে আশার আলো দেখলেও দেশের বেশ কয়েকটি জেলা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন আইসিএমআর ডিরেক্টর। তিনি জানান, দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় করোনা পরীক্ষার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে দেশএ ১৬ হাজার জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়েছিল। দেশের জনস্বাস্থ্যের নিরিখে জিনোম সিকোয়েন্সিং অতি জরুরী। এটা সংশ্লিষ্ট রোগীর কাছে অতটা জরুরী না হলেও দেশের করোনা পরিস্থিতি বুঝতে তা খুবই প্রয়োজনীয়।’