করোনাভাইরাসের থাবায় রীতিমতো কাঁপছে বিশ্ব। ভারতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এরইমধ্যে জ্বর-কাশি হলে করোনার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অনেকেই। সিজনাল (মরশুমকালীন) ফ্লু ও করোনার উপসর্গে কিছু মিল থাকায় দুশ্চিন্তা আরও বাড়ছে।
আরও পড়ুন : Coronavirus updates in India: করোনা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ কেন্দ্রের, জানুন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা
যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু উপসর্গ এক হলেও সাধারণ সর্দি-কাশি, সাধারণ ফ্লুয়ের সঙ্গে করোনাভাইরাসের যথেষ্ট অমিল রয়েছে। তাই দুশ্চিন্তা না করে করোনাভাইরাস, সাধারণ ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশির উপসর্গ-সহ যাবতীয় তথ্য দেখে নিন-
আরও পড়ুন : কীভাবে করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাবেন, দেখে নিন যাবতীয় তথ্য
করোনাভাইরাস :
উপসর্গ - ১) জ্বর ২) শুকনো কাশি ৩) পেশিতে ব্যথা ৪) ক্লান্তি।
কম সাধারণ উপসর্গ - ১) মাথা যন্ত্রণা ২) কাশির সঙ্গে রক্ত ওঠা ৩) ডায়েরিয়া।
ইনকিউবেশন পিরিয়ড (শরীরে ভাইরাস ঢোকা থেকে প্রথম উপসর্গ দেখা দেওয়া পর্যন্ত সময়) - এক থেকে ১৪ দিন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা ২৪ দিনও হতে পারে।
জটিলতা - করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচ শতাংশের অবস্থা জটিল হয় (অ্যাকিউট নিউমোনিয়া, সেপটিক শক, মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর ও রেসপিরেটরি ফেলিওর)।
সুস্থ হওয়ার সময় - সাধারণত দু'সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠেন আক্রান্ত ব্যক্তি। তবে জটিলতা বেশি হলে সুস্থ হতে ২-৬ সপ্তাহ সময় লাগে।
চিকিৎসা বা প্রতিষেধক - কোনও প্রতিষেধক বা অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ নেই। শুধুমাত্র উপসর্গের চিকিৎসা করা যায়।
সিজনাল ফ্লু :
উপসর্গ - ১) জ্বর ২) শুকনো কাশি ৩) পেশিতে ব্যথা ৪) ক্লান্তি ৫) গলা ব্যথা ৫) মাথা যন্ত্রণা ৬) নাক দিয়ে জল পড়া ও বদ্ধ নাক।
কম সাধারণ উপসর্গ - ১) ডায়েরিয়া ২) বমি।
ইনকিউবেশন পিরিয়ড - ১-৪ দিন।
জটিলতা - ১০০ জনের যদি সাধারণ ফ্লু হয়, তাহলে একজনের অবস্থা জটিল হয়।
সুস্থ হওয়ার সময় - সাধারণত সুস্থ হতে এক সপ্তাহ সময় লাগে। তবে জটিল ক্ষেত্রে দু'সপ্তাহ সময় লাগে।
চিকিৎসা বা প্রতিষেধক - বার্ষিক ফ্লু প্রতিষেধক রয়েছে।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে টাকা-পয়সা নাড়াচাড়ায়, সতর্ক করল ‘হু
সাধারণ সর্দি-কাশি :
উপসর্গ - ১) নাক দিয়ে জল পড়া ও বদ্ধ নাক ২) হাঁচি ৩) গলা ব্যথা।
কম সাধারণ উপসর্গ - ১) হালকা জ্বর ২) পেশি বা শরীরে ব্যথা ৩) মাথা যন্ত্রণা ৪) ক্লান্তি।
ইনকিউবেশন পিরিয়ড - ২-৩ দিন।
জটিলতা - অত্যন্ত বিরল।
সুস্থ হওয়ার সময় - অধিকাংশ ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ সময় লাগে। বড়জোর তা ১০ দিন হতে পারে।
চিকিৎসা বা প্রতিষেধক - কোনও চিকিৎসা নেই। শুধুমাত্র উপসর্গের চিকিৎসা করা হয়।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাস থেকে শিশুকে কী ভাবে রক্ষা করবেন, জেনে রাখুন জরুরি টিপ্স
বিশেষ দ্রষ্টব্য : আপনার যদি নাক দিয়ে জল পড়ে ও নাক বদ্ধ থাকে বা আপনি হাঁচছেন, তাহলে আপনি করোনায় আক্রান্ত হননি, সেই সম্ভাবনা বেশি।