নিপার সঙ্গে যখন যুঝতে পেরছি, তখন করোনাকেও ভয় পাওয়ার কারণ নেই। ভয়াবহ ভাইরাসে আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগীর সন্ধান পাওয়ার পরে মন্তব্য করলেন কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা।
একদিকে যখন চিনের করোনাভাইরাস আক্রান্ত উহান থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, ঠিক তখনই কেরালায় ফের মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি হলেন এক ব্যক্তি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
রবিবার কেরালা স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কেরালায় দ্বিতীয় এক করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর কথা জানা গিয়েছে। তিনি কিছু দিন আগে চিনে গিয়েছিলেন। তাঁর রক্ত পরীক্ষার পরে শরীরে নোভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে এবং তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং তাঁকে কড়া নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শহরে ফের করোনা আতঙ্ক, হাসপাতালে ভরতি হলেন মার্কিন পর্যটক
বিবৃতি প্রচারের পরে শৈলজা বলেন, ‘প্রবল সতর্কতা জারি করা হয়েছে, তবে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। এ ক্ষেত্রে রোগীকে আলাদা করে রাখাই সবচেয়ে জরুরি ওষুধ। এই ভাইরাসে আক্রান্ত দুই রোগীই আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন।’
মন্ত্রী জানিয়েছেন, করকোনাভাইরাসে আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী গত ২৪ জানুয়ারি উহান থেকে ফিরেছেন। তিনি একজন মেডিক্যাল ছাত্র। তাঁকে বর্তমানে আলাপুঝা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় এই সময় হাসপাতালের ভিতরে ঘুরে বেড়ানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: পাক মুসলিমরা কী সুবিধে ভোগ করছে? করোনা মোকাবিলায় পাক সরকারের সমালোচনায় আদনান
পাশাপাশি, যাঁরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে রয়েছেন, তাঁদেরও ২৮ দিন অতিক্রম করার আগে বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছেন শৈলজা। জানিয়েছেন, এই মর্মে এবার সরকারি নোটিশও জারি করা হবে।
দুই বছর আগে কেরালায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল মারাত্মক নিপা ভাইরাস। সরকারি তত্পরতায় শেষ পর্যন্ত তার গ্রাস থেকে মুক্তি পেয়েছে রাজ্য। এ দিন তাই কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিপা সবচেয়ে ভয়ংকর ছিল, কিন্তু তাকেও আমরা রুখে দিতে পেরেছি। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই, করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকেও নিজেদের রক্ষা করতে পারব।’
তাঁর দাবি, যে কোনও ছোঁয়াচে অসুখের মতোই করোনাভাইরাসেরও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েচে। তবে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার, জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে কেরালায় প্রথম আক্রান্ত হন এক মহিলা। বর্তমানে তিনি ত্রিশূর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন।