ভারতে ক্রমশ জটিল হচ্ছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের রাস্তায় হেঁটেছে কেন্দ্র ও রাজ্য। দেশের ১৭ টি রাজ্যের ৮০ টি জেলায় লকডাউন কার্যকর হয়েছে। তা চলবে আগামী ৩১ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত। দিল্লিতে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে লকডাউন। তবে পশ্চিমবঙ্গে আজ বিকেল পাঁচটা থেকে লকডাউন শুরু হবে। তা চলবে আগামী শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত। ছ'টি জেলা পুরোপুরি তালাবন্ধ থাকবে। বাকি জেলাগুলির মূলত পুরসভা শহরগুলিতেই লকডাউন কার্যকর হবে। এই লকডাউনের সময়ে কী করবেন ও কী করবেন না, তা দেখে নিন একনজরে -
অত্যাবশ্যক কোনও কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসক বা হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হলে বেরোতে পারেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য বেরনো যাবে। তবে তা যথাসম্ভব কম।
গুজবে কান দেবেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য দোকানে ভিড় করবেন না। সরকার জানিয়েছে, রেশন দোকান, আনাজ, মুদি, মাংস, ফল, পাউরুটি ও দুধের দোকান খোলা থাকবে। পর্যাপ্ত জোগানও থাকবে। তাই বাজারে ভিড় করবেন না। বাড়িতে অনেক সামগ্রীও সঞ্চয় করবেন না। তাতেই বাজারে ঘাটতি তৈরি হবে।
ব্যাঙ্কে জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। টাকা তোলা, টাকা জমা দেওয়া, অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো, চেক জমা ও সরকারি লেনদেন চলবে। এটিএম পরিষেবা মিলবে। এছাড়াও অনলাইনে সমস্ত পরিষেবা পাবেন গ্রাহকরা।
জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোলেও এক জায়গায় সাত বা তার বেশি জমায়েত হবেন না।
লকডাউনের সময় নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যেও মহামারী আইন লাগু রয়েছে। নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য।
অযথা আতঙ্কিত হবেন না। সরকারের নির্দেশ মেনে চলুন। জ্বর, সর্দি, কাশি হলে ফেলে না রেখে চিকিৎসকদের পরামর্শ দিন।