করোনাভাইরাস রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। তাই কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে (১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত) দিল সরকার। আজ সোমবার এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর বিধিনিষেধ আরও একসপ্তাহ বাড়ানোর পরামর্শ দেয় করোনা সংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শ কমিটি।
বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ও তার জেরে মৃত্যু উদ্বেগ বাড়াতে থাকে। তাই ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ। ৭ জুলাই মধ্যরাতে তা শেষ হবে। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। তাই আরও পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে একসপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধ বেড়ে ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত করা হলো।
এই কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মহম্মদ সহিদুল্লা বলেছেন, তাঁরা চান এই বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হোক। বিজ্ঞানসম্মতভাবে সেটাই করা উচিত। তারপরই আজ নির্দেশিকা দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার জানিয়ে দিল, বাড়ানো হচ্ছে আরও একসপ্তাহের কড়া বিধিনিষেধ।
এই বিধিনিষেধের জেরে সব সরকারি–বেসরকারি অফিস, শপিং মল, দোকানপাট এবং গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসর্ট, কমিউনিটি সেন্টার এবং বিনোদনকেন্দ্র–সহ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার–অনুষ্ঠানও বন্ধ। ওষুধ–নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ সৎকার ইত্যাদি ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করেছে সরকার।
তবে শিল্পকারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা, স্বাস্থ্যসেবা, করোনার টিকাদান, রাজস্ব আদায় কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, জল, গ্যাস, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাঙ্ক, ফার্মেসি–সহ অন্যান্য জরুরি বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে যাতায়াত করতে পারা যাবে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাবেচা করতে দেওয়া হচ্ছে। টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাচ্ছে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি (অনলাইনে কেনা বা খাবার নিয়ে যাওয়া) করতে পারছে। তবে হোটেলে বসে খাওয়ায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।