করোনাভাইরাসের (Covid-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছবে মে মাসে। আগামী ৪-৮ মে দৈনিক ৪.৪ লাখ পর্যন্ত সংক্রমণ হতে পারে। বর্তমান সংক্রমণের হার ও সার্বিক পরিস্থিতিতির মাধ্যমে গণনা করে এমনটাই জানালেন আইআইটির গবেষকরা।
এর আগে এই গাণিতিক মডেল ব্যবহার করেই ১৫ এপ্রিল সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছনোর কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা। আইআইটি কানপুর ও আইআইটি হায়দরাবাদের গবেষকরা SUTRA মডেল ব্যবহার করে এই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। যদিও এপ্রিলের পরেও ক্রমেই বেড়েছে কোভিড।
বর্তমান পরিসংখ্যান প্রয়োগ করে আবারও নতুন করে হিসাব করেছেন গবেষকরা। আর তাতেই উঠে আসছে ভয়ানক তথ্য। দেখা যাচ্ছে, আগামী ৪-৮ মে'র মধ্যে দেশে দৈনিক ৪.৪ লাখেরও বেশি সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি, আগামী ১৪ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৮-৪৮ লাখ কোভিড পজিটিভের সংখ্যা হতে পারে দেশে।
পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে আইআইটি কানপুরের গবেষক মনিন্দর আগরওয়াল জানান, এইবার ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ - দুটি সম্ভাব্য পরিসংখ্যানই খতিয়ে দেখা হয়েছে। এই সময়ে করোনার পরিসংখ্যান তাঁর হিসাবের মধ্যেই হবে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী। তবে একইসঙ্গে অন্তিম পরিসংখ্যান যে পূর্বাভাসের সঙ্গে হুবহু এক নাও হতে পারে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর কারণ হিসাবে তিনি সবসময়ে বদলাতে থাকা পরিস্থিতিতে দায়ী করেছেন। টিকাকরণ, সামাজিক দূরত্ববিধি লাগু, চিকিত্সা ব্যবস্থা, টেস্টিং, লকডাউন, কার্ফু- ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রের উপর সংক্রমণের সংখ্যা পরিবর্তনশীল।
'SUTRA' নামে পরিচিত এই গাণিতিক মডেল। এর মাধ্যমেই বিশ্লেষণ করে গত বছর অগস্টে প্রথম পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে বলা হয়েছিল যে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে শিখরে পৌঁছাবে করোনা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে একটু কমতে পারে সংক্রমণ।
মনিন্দর জানিয়েছেন, পুরো হিসাবটাই করা হয় করোনার পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ কতজন দৈনিক সংক্রমিত হচ্ছেন, একজন সংক্রমিত ব্যক্তি কতজনকে সংক্রমিত করছেন ইত্যাদি পরিসখ্যানই এর মূলে। তাই চলতি ও আগামী মাসে করোনা সতর্কতা আরও সঠিকভাবে পালন করা প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। নিয়মিত মাস্ক, স্যানিটাইজার, হাত ধোওয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস রাখতে হবে আমজনতাকে, এমনই মত তাঁদের।