ফের তুঙ্গে উঠছে নয়া Coronavirus সংক্রমণের গ্রাফ। ফলে আবারও কঠোর সামাজিক দূরত্ববিধির দিকে এগোচ্ছে মহারাষ্ট্র। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত শপিং মল ও সিনেমা হল বন্ধ। নির্দিষ্ট কিছু স্থানে বন্ধ স্কুলও। শুক্রবার এমনই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে।
শুধু তাই নয়, বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও আবারও কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দিতে বলা হয়েছে। উদ্ভব ঠাকরে বলেন, 'বেসরকারি সংস্থার কর্তাদের প্রতি অনুরোধ, সোমবার করে অন্তত কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা দিন। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহজ হবে।'
শুক্রবার বিধানসভায় নয়া করোনাবিধির ঘোষণা করেন উদ্ভব ঠাকরে। তিনি জানান ওইদিন মধ্যরাত থেকে মহামারী আইন ১৮৯৭ লাগু করা হচ্ছে।
চলতি মাসের শুরু থেকে ফের দ্রুত হারে সংক্রমণ বাড়ছে মহারাষ্ট্রে। গত ১১ মার্চ একদিনে নতুন করে ১৪,০০০ করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে লকডাউন, কার্ফুর পথে হেঁটেছে রাজ্যের একাধিক জেলা। সপ্তাহের শুরুতেই নাইট কার্ফু ও শনি-রবি লকডাউনের ঘোষণা করে ঔরঙ্গাবাদ জেলা প্রশাসন। বাড়তে থাকা করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় জনতা কার্ফুর সিদ্ধান্ত নেয় জলগাঁও। আগামী ১৫ মার্চ থেকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাগপুর জেলা প্রশাসনও।
এক সময়ে কমে গিয়েও ফের কেন বাড়ছে সংক্রমণ? মূলত ঘনবসতি, ভিড়ে ঠাসা যাত্রী পরিবহণ, ভারত তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের নিয়মিত যাতায়াত ইত্যাদি কারণে ফের বাড়ছে নয়া সংক্রমণ।
শুক্রবার উদ্ভব ঠাকরে জানান, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার স্বার্থে ফের পুনে ও পিম্পরিতে বন্ধ হচ্ছে স্কুল। তবে, সামনেই যে পরীক্ষাগুলো রয়েছে, সেগুলো বাতিল হচ্ছে না। সেগুলি হবে সময় মতোই।
সময় মতো হবে সরকারি চাকরির পরীক্ষাগুলোও। সেই কারণে যাত্রী পরিবহণ ও জরুরী পরিষেবা যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখা হবে বলে জানিয়েছে একাধিক জেলা প্রশাসন।