কড়া নজরদারি সত্ত্বেও দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গত কয়েকদিন আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। সঙ্গে ১৮৯৭ সালের এপিডেমিক ডিজিজ অ্যাক্টের দু'নম্বর ধারা লাগু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : করোনায় আক্রান্ত নাকি সাধারণ ফ্লু বা সর্দি-কাশি হয়েছে, বুঝবেন কীভাবে?
বুধবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলকে ব্রিটিশ আমলের আইনের দু'নম্বর ধারা লাগু করার পরামর্শ দেবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যাতে যে অ্যাডভাইজারি জারি করা হচ্ছে, তা কার্যকর করা হয়।
আরও পড়ুন : Coronavirus updates in India: করোনা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ কেন্দ্রের, জানুন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা
১৮৯৭ সালের এপিডেমিক ডিজিজ অ্যাক্টের দু'নম্বর ধারা কী?
মহামারী (এপিডেমিক) রুখতে পদক্ষেপ করা ও নীতি লাগু করার ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করে এই ধারা। এটির আওতায় কোনও রোগের প্রার্দুভাব আটকাতে বা তা রোধ করতে কোনও সাময়িক নীতি জনসাধারণকে আবশ্যিকভাবে পালন করার নির্দেশ দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন : কীভাবে করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাবেন, দেখে নিন যাবতীয় তথ্য
পাশাপাশি, এই ধারার আওতায় কোনও রোগে আক্রান্ত সন্দেহে রেল বা অন্য কোনও মাধ্যমে যাতায়াতকারী ব্যক্তিদের পরীক্ষা করার ও হাসপাতাল বা অস্থায়ী স্থান বা অন্যত্র আলাদাভাবে রাখার ক্ষমতা রয়েছে কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনের হাতে।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে টাকা-পয়সা নাড়াচাড়ায়, সতর্ক করল ‘হু’
পাশাপাশি এই আইনের আওতায় যে অঞ্চলগুলি রয়েছে, সেখানকার কোনও বন্দরে জাহাজ বা ভেসেল এলে তা পরীক্ষা করতে পারে সরকার। প্রয়োজনুসারে আটকে রাখা বা সেই বন্দর থেকে অন্যত্র যাওয়া কোনও ব্যক্তি বা অন্য জায়গা থেকে সেই বন্দরে আসা কোন ব্যক্তির পরীক্ষা করতে পারে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : করোনার থাবা রুখতে চান? কোনওমতেই এসব ভুল ধারণার শিকার হবেন না
কোন ক্ষেত্রে ব্রিটিশ আমলের এই আইন লাগু করা হবে, তাও বিশদে বলা আছে। ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সেই সময়ে (প্রাদুর্ভাবের সময়) যে আইন লাগু আছে, তার ধারাগুলি সংশ্লিষ্ট রোগের সংক্রমণ রোখার জন্য যথেষ্ট না হলে ১৮৯৭ সালের আইনটি লাগু করতে পারে কর্তৃপক্ষ। জনসমক্ষে নোটিশ জারির মাধ্যমে সাময়িক নিয়মাবলী পালনের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি কীভাবে ও কার মাধ্যমে অর্থ ব্যয় (ক্ষতিপূরণ সহ) করা হবে, তা নির্ধারণ করতে পারবে সরকার।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাস থেকে শিশুকে কী ভাবে রক্ষা করবেন, জেনে রাখুন জরুরি টিপ্স
তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এই মুহূর্তে প্রত্যেকের স্ক্রিনিংয়ের প্রয়োজন নেই। কারণ গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটেনি এখনও। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, যাঁরা সংক্রামিত দেশে গিয়েছেন বা করোনায় আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের শরীরে এই মারণ ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।়।