করোনাভাইরাসে দেশে প্রাণহানির সংখ্যা সর্বনিম্নে বেঁধে রাখতে হবে। তাই লকডাউন শেষ হওয়ার পরই যাতে রাস্তায় মানুষ বেরিয়ে না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন : Coronavirus Update: চব্বিশের মধ্যে করোনা আক্রান্ত ২৩, তাতেও হাসপাতালে ভরতি হতে নারাজ জামাত সদস্যরা!
বৃহস্পতিবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন মোদী। সেখানে তিনি রাজ্যগুলিকে বলেন, 'লকডাউন শেষ হলেই যাতে একসঙ্গে রাস্তায় মানুষ বেরিয়ে না পড়েন, তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যেগুলিকে কেন্দ্রের সঙ্গে অবশ্যই কাজ করতে হবে। একটি যৌথ এগজিট রূপরেখা (কমন এগজিট স্ট্র্যাটেজি) বানাতে হবে।'
আরও পড়ুন : অভব্য নিজামুদ্দিনের আক্রান্তরা, চিকিৎসকদের গায়ে থুতু ছিটিয়ে গালিগালাজ
লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে মোদী স্পষ্টভাবে কিছু না বললে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, ধাপে ধাপে লকডাউন শিথিল হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন মোদী। লকডাউন সংক্রান্ত অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর একটি টুইটকেও হাতিয়ার করে তাঁদের দাবি, লকডাউন ধাপে ধাপে শিখিল করা হবে। কিছুক্ষণ পরই অবশ্য টুইটটি ডিলিট করে দেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : নিজামুদ্দিন ফেরতদের খুঁজতে গিয়ে মধুবনিতে পাথরবৃষ্টির শিকার পুলিশ, ধৃত ৩
এদিকে, কীভাবে লকডাউন থেকে বেরনো যায়, তা নিয়ে রাজ্যগুলিকে চিন্তাভাবনা করার আর্জি জানান মোদী। তাঁদের পরামর্শও চান। লকডাউন শেষের পর করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেন মোদী।
লকডাউনের বিষয়ে কোনও স্পষ্ট আভাস না দিলেও আগামী কয়েক সপ্তাহে দেশের লক্ষ্য কোন বিষয়ের উপর থাকা উচিত, তা ব্যাখ্যা করেন মোদী। তিনি বলেন, 'আগামী কয়েক সপ্তাহে পরীক্ষা-চিহ্নিত-আইসোলেশন-কোয়ারেন্টাইনের উপর গুরুত্ব আরোপ করা উচিত।' একইসঙ্গে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী, ওষুধ তৈরির জন্য কাঁচামাল ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির জোগান বজায় রাখাও নিশ্চিত করতে বলেন মোদী।