প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর 'বন্ধু'। ভারতও 'বন্ধু' রাষ্ট্র। কিন্তু 'বন্ধু' করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিষেধক দেওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখান করলে 'বদলা'-র হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও পড়ুন : দেশে করোনার কবলে ৪৪২১, মৃত্যু ১১৪ জনের, রাজ্যে আক্রান্ত ৯১
ভারতীয় সময় অনুযায়ী রবিবার সন্ধ্যায় মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন আমেরিকায় রফতানির আর্জি জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু, দেশে যাতে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কম না পড়ে সেজন্য তার আগেরদিনই ওই ওষুধ উপাদান রফতানির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা চাপায় ভারত। ট্রাম্পের আর্জি মেনে মার্কিন মুলুকে সেই ওষুধ পাঠানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি। ফোনেও ধোঁয়াশা রেখে মোদী শুধু বলেন, 'আমরা যা করতে পারি, তা করব।'
আরও পড়ুন : চিকিত্সক, নার্সদের হাততালি দিয়ে অভিনন্দন দিল্লির পাঁচতারা হোটেলে
তবে তাঁর অনুরোধে ভারত এখনও সাড়া না দেওয়ার বিষয়টি একেবারেই ভালোভাবে নেননি ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে তিনি বলেন, 'আমি বলেছিলাম, যদি (হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন) সরবরাহে ছাড় দেয় ভারত, তাহলে আমরা তা প্রশংসা করব। কিন্তু উনি (মোদী) যদি রফতানির অনুমতি না দেন, তাহলে সেটা ঠিক আছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু বদলা (নেওয়া) হতেই পারে।'
আরও পড়ুন :Covid-19: কথা বলা, নিশ্বাস নেওয়া থেকেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস, দাবি গবেষকদের
পরে অবশ্য কিছুটা সুর নরম করে ট্রাম্প জানান, ভারত এখনও তাঁর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেনি। তবে হাবেভাবে ফের হুমকির সুরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, 'বছরের পর বছর ধরে ওরা (ভারত) বাণিজ্যে আমেরিকার থেকে সুবিধা নিচ্ছে। তাই ওটাই যদি সিদ্ধান্ত (আমেরিকার জন্য হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানির নিয়ম শিখিল না করা) হয়, তাহলে আমি অবাক হব। ওনাকে (মোদী) এটা বলতে হবে আমায়।'
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে টাকা-পয়সা নাড়াচাড়ায়, সতর্ক করল WHO
তবে এখানেই শেষ হয়নি ট্রাম্পের 'ক্ষোভ'। বরং হয় ভুল বুঝে বা ভুল শুনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ট্রাম্প। ওই সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, দেশে বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী যাতে কম না পড়ে, সেজন্য ট্রাম্প সেগুলির রফতানিতে যে বিধিনিষেধ চাপিয়েছে আমেরিকা, তার বিরুদ্ধে বদলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে অন্য দেশগুলি। জবাবে ট্রাম্প বলেন, '(ভারতের) ওই সিদ্ধান্ত (হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা)আমার পছন্দ হয়নি। আমি শুনিনি যে এটা ওঁর (মোদী) সিদ্ধান্ত। আমি জানি, অন্য দেশের জন্য (রফতানি) বন্ধ করেছেন। গতকাল (রবিবার) তাঁর সঙ্গে আমার দারুণ কথা বলেছে। আমরা দেখতে চাই, তাঁর সিদ্ধান্ত কী হয়। তবে উনি যদি (নিষেধাজ্ঞা) বজায় রাখেন, তাহলে আমি অবাক হব। কারণ আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো।'