তাঁর ধারণা, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় যুগান্তকারী ভূমিকা রয়েছে hydroxychloroquine-এর। সেই ম্য়ালেরিয়া প্রতিষেধকের রফতানির উপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আর্জি জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও পড়ুন : Coronavirus Update: হবে না বিপর্যয়, বন্ধ করতে হবে না পাখা-কম্পিউটার-AC-TV, জানাল কেন্দ্র
করোনা নিয়ে হোয়াইট হাউসের দৈনন্দিন ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন। 'যে পরিমাণ (hydroxychloroquine) বরাত দিয়েছি, তা ছেড়ে দেওয়ার' আর্জি জানান ট্রাম্প। তাঁর দাবি, 'ওরা (ভারত) বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। '
আরও পড়ুন : ধরা পড়ল কাবুলে গুরুদ্বারায় হামলার মূলচক্রী ফারুকি
শনিবার সন্ধ্যায় ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি টুইটারে জানান মোদী। করোনা মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজের অঙ্গীকার করলেও ঠিক কোন কোন বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে, তা অবশ্য খোলসা করেননি।
আরও পড়ুন : Covid-19: মহিলাদের তুলনায় করোনায় পুরুষদের মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি
পরে হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়, মহামারীর মোকাবিলায় যৌথভাবে কাজের বিষয়ে একমত হয়েছে দু'দেশ। একইসঙ্গে জরুরি ওষুধ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সরঞ্জামের জোগানের মতো বিষয়েও একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন মোদী-ট্রাম্প।
আরও পড়ুন : কাশ্মীরের এতই ভালো চাইলে সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করুক পাকিস্তান, কড়া জবাব ভারতের
উল্লেখ্য, ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে ভারত দীর্ঘদিন ধরেই hydroxychloroquine ব্যবহার করে আসছে। বিশ্বের সবথেকে বেশি hydroxychloroquine উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যেও রয়েছে ভারত। করোনা মোকাবিলায় সেই প্রতিষেধক ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ মার্চ সেই ওষুধের (active pharmaceutical ingredient ও ফর্মুলেশন) রফতানির উপর বিধিনিষেধ চাপিয়েছিল ভারত। বিশেষ ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। কিন্তু শনিবার নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেই বিধিনিষেধ কোনওভাবে প্রত্যাহার করা যাবে না।
যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সরকার চাইলে নয়া বিজ্ঞপ্তিতেও পরিবর্তন ঘটাতে পারে। বিশেষযত মোদী-ট্রাম্পের সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে মার্কিন মুলুকে hydroxychloroquine রফতানির পথে হাঁটতে পারে নয়াদিল্লি।