ইতিমধ্য়ে নিউ ইয়র্কের চিড়িয়াখানায় এক বাঘের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ভারতের সব চিড়িয়াখানায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হল। সব পশুকেই ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : রেশন বিলি থেকে ৪০ জনকে PM-CARES ফান্ডে অনুদানের আর্জি-BJP কর্মীদের পাঁচ নির্দেশ মোদীর
কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা পর্ষদের তরফে সোমবার একটি অ্যাডভাইজারি জারি করে জানানো হয়েছে, কোনও পশু যদি অসুস্থ হয়, তাহলে করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা নির্দিষ্ট পশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠাতে হবে।
আরও পড়ুন : করোনার গ্রাস থেকে বেঁচে কয়েকটি মাত্র দেশ, জানুন তাদের নাম
অ্যাডভাইজারিতে বলা হয়েছে, 'দেশের সমস্ত চিড়িয়াখানাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনও অস্বাভাবিক আচরণ করছে বা কোনও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য সিসিটিভির মাধ্যমে পশুদের উপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হোক। যাঁরা পশুদের দেখভাল করেন, তাঁদের পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুপমেন্টের (পিপিই) মতো সুরক্ষাবরণী ছাড়া যেন তাদের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেওয়া না হয়। অসুস্থ পশুদের আলাদা করে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। খাবার দেওয়ার সময়েও যতটা কম সম্ভব তত কম সংস্পর্শে আসতে হবে।'
আরও পড়ুন : Covid-19- BCG টিকা দেওয়া থাকলে কি হবে না করোনা? কী বলছেন চিকিত্সকরা
শুধুমাত্র একটি বাঘ নয়, নিউ ইয়র্কের কয়েকটি সিংহ এবং বাঘও অসুস্থ। এই পরিস্থিতিতে দেশের ১৬০ টি স্বীকৃত চিড়িয়াখানার (৫৬,৮০০-র বেশি পশু আছে) ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্রীয় পর্ষদ।
আরও পড়ুন : OLX-এ স্ট্যাচু অফ ইউনিটি বিক্রির বিজ্ঞাপন, মামলা দায়ের পুলিশের
অ্যাডভাইজারিতে বলা হয়েছে, 'মাংসাশী স্তন্যপায়ী প্রাণীদের কড়া পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। বিশেষত বিড়াল, ফেরেট ও প্রাইমেটসদের। করোনা পরীক্ষার জন্য ১৪ দিন ছাড়া সন্দেহভাজনদের নমুনা নির্দিষ্ট পশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ প্যাথোজেনের মতো জৈব সংক্রমণ এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) নির্দেশিকা মেনে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করতে হবে।' একইসঙ্গে সরকারের নোডাল এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে টাকা-পয়সা নাড়াচাড়ায়, সতর্ক করল WHO
এর আগে, BioRxiv-এ প্রকাশিত একটি non-peer review (গবেষক বা পেশাদার কেউ করেননি) নিবন্ধে দাবি করা হয়, ফেরেট ও বিড়ালের করোনায় সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কুকুর, হাঁস, মুরগি ও শুয়োরের সেই সম্ভাবনা নেই। সেই নিবন্ধ অনুযায়ী, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট তথ্য অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি নিয়ে যাঁদের বাড়িতে পোষ্য আছে বা বিড়াল প্রেমীদের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। কারণ পুরো পরীক্ষাটা গবেষণাগারে হয়েছে। বাইরে নয়।তাছাড়া বিড়াল থেকে মানুষের দেহে করোনার সংক্রমণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। পাশাপাশি, কোনও প্রজাতির বিড়াল ব্যবহার করা হয়েছিল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।