দেশে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ওমিক্রনের আগমনের জেরে বুস্টার ডোজ নিয়ে আলোচনা আরও বেড়েছে। এই আবহে ভারতীয় SARS-CoV-2 জেনেটিক্স কনসোর্টিয়াম বা INSACOG তাদের সাম্প্রতিক সাপ্তাহিক বুলেটিনে বলেছে যে ৪০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য একটি বুস্টার ভ্যাকসিন ডোজ ‘ বিবেচনা করা যেতে পারে’। বুস্টার ডোজ নিয়ে INSACOG-এর এটা প্রথম এরম সুপারিশ ছিল।
সংস্থাটি নতুন B.1.1.529 বা কোভিডের ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের ঝুঁকির আবহে এই সুপারিশ করেছে। সংস্থাটি তাদের সুপারিশে সকলকে টিকা দেওয়া বিষয়টিকেও হাইলাইট করেছে। যারা এখনও টিকা পাননি, তারাও যে ‘ঝুঁকিতে রয়েছে’, সেই কথা উল্লেখ করেছে INSACOG৷
INSACOG বলেছে যে বর্তমান ভ্যাকসিনগুলির অ্যান্টিবডিগুলি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে রোখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। তবে এই ভ্যারিয়েন্টটির কারণে সৃষ্ট গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমার সম্ভাবনা রয়েছে বুস্টার ডোজে। বুলেটিনে বলা হয়, ‘যাঁদের টিকাকরিণ বাকি, ঝুঁকিপূর্ণ সেই সমস্ত ব্যক্তিদের টিকাদান এবং ৪০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য একটি বুস্টার ডোজ বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রথমে সবচেয়ে বেশি-ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে থাকা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদেরকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। কারণ বর্তমান ভ্যাকসিনগুলি থেকে কম মাত্রার অ্যান্টিবডি ওমিক্রনের সম্ভবত রুখতে পারবে না।’
বুলেটিনে আরও বলা হয়, ‘প্রয়োজনীয় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা সক্ষম করার জন্য এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতির প্রাথমিক সনাক্তকরণের জন্য জিনোমিক নজরদারি গুরুত্বপূর্ণ হবে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় এবং সেখান থেকে ভ্রমণকারীদের নিরীক্ষণ এবং ধুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে যারা কোভিড আক্রান্ত, তাদের ট্রেসিং বাড়ানো উচিত।’