আগামী বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টার থেকে ওষুধের দোকানেও মিলতে পারে করোনা টিকা। তবে সবই নির্ভর করছে কত সংখ্যক কোভিড ডোজ বাজারে আছে তার ওপর। বছরের শুরুতেই এমনি করোনা টিকাকরণ প্রকল্প শুরু হয়ে যাবে সরকারি উদ্যোগে। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে যারা কিনতে চান টিকা, তাদের খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না, যদি ওষুধের দোকানেই সেটা উপলব্ধ হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশেষজ্ঞদের থেকে জানা গিয়েছে যে বেসরকারি বাজারেও যাতে দাম আয়ত্বের মধ্যে থাকে, তার জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে কত দ্রুত টিকাগুলি ছাড়পত্র পাচ্ছে তার ওপরেই নির্ভর করছে সবকিছু।
ভ্যাকসিন বণ্টন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা জানিয়েছেন যে অতীতে যে ভাবে ইনফ্লুয়েজার টিকা দেওয়া হয়েছে সেই পদ্ধতিই এখানে মেনে চলা হবে। অর্থাৎ কিছু শর্ত মেনে ওষুধের দোকান থেেকে মিলবে টিকা।
জুলাইয়ের মধ্যে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা প্রদান করার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। সেই জন্য এই মুহূর্তে তালিকা বানানোর কাজ চলছে স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা যোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করে। অন্যদিকে ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাগুলি কতটা কার্যকরী, সেটি খতিয়ে দেখে ছাড়পত্র দেওয়ার পথে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতেই মিলবে সবুজ সঙ্কেত।
সেরাম ও ফাইজার উভয়ই ফের কমিটির কাছে প্রেজেন্টেশন দিতে রাজি। অন্যদিকে ভারত বায়োটেক এখনও যে তথ্য চাওয়া হয়েছিল তা দেয়নি। ফলে তাদের ছাড়পত্র পেতে একটু দেরি হতে পারে।