বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে করোনা টিকাকরণ। ভারতে এখনও ছাড়পত্র পায়নি কোনও টিকা। এই অবস্থায় ব্রিটেনের জন্য অপেক্ষা না করেই অক্সফোর্ড টিকাকে ছাড়পত্র দিয়ে দিতে পারে কেন্দ্র। যদি সেরামের দেওয়া ক্লিনিকাল ডেটা সন্তোষজনক হয়, তাহলে ড্রাগ কনট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া সবুজ সংকেত দিতে পারে বলেই সূত্রের খবর।
এক অধিকর্তা জানিয়েছেন যে বিশেষজ্ঞ কমিটি যে অতিরিক্ত তথ্য চেয়েছিল সেটা জমা দিয়েছে সেরাম। প্রসঙ্গত, কোভিশিল্ড টিকাটি বানিয়েছে ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতে এর বণ্টনের দায়িত্ব নিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এর আগের বৈঠকে বিশেষজ্ঞ প্যানেল সেরামকে জিজ্ঞেস করেছিল যে ব্রিটেনের আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য যে আপিল করা হয়েছিল, সেটায় কতদূর কাজ এগিয়েছে। তখন মনে হচ্ছিল যে হয়তো ব্রিটেনে ছাড়পত্র পাওয়া খুব জরুরি। বর্তমানে যে ক্লিনিকাল ট্রায়াল ডেটা পাঠিয়েছে সেরাম, তাতে ব্রিটেন ও ভারত উভয় দেশেরই তথ্য আছে। তবে ভারতে ট্রায়ালের চূড়ান্ত ফলাফল আসতে আরও কিছু দিন লাগবে। তবে ব্রিটেন ও ভারতে একই ডেটা নিয়ে রিভিউ হচ্ছে বলে এক সরকারি কর্তা জানিয়েছেন।
সোমবার সংশোধিত ডেটা জমা দিয়েছে সেরাম। তাদের ও ফাইজারের প্রস্তাবটি এই মাসের শেষেই খতিয়ে দেখবে সরকার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। আরেক সূত্রের খবর, কোভিশিল্ড টিকা কেনা নিয়ে সেরাম ও সরকারের আলোচনা চলছে। চলতি সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিক সবুজ সঙ্কেত মিলতে পারে।
ব্রিটেনে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাকে আপৎকালীন ছাড়পত্র দেওয়া হবে ২৮-২৯ তারিখে। তার আগেই ভারতে ছাড়পত্র পেতে পারে অক্সফোর্ড টিকা। ভারতে মূলত বণ্টন করা হবে অক্সফোর্ডের টিকা, অন্তত প্রাথমিক ভাবে কারণ সেটি অনেক সস্তা ও দুই থেকে আট ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখা যায়। অন্যদিকে ফাইজারের টিকার দামও বেশি ও হিমাঙ্কের থেকে ৭০-৮০ ডিগ্রি নিচে সেটিকে স্টোর করতে হয়। তবে নতুন যে করোনার প্রজাতি এসেছে, তার জেরে এই টিকাগুলি কার্যকারিতা হারাবে না বলেও মনে করছে কেন্দ্র।