দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা দিবস রাই। কর্মসূত্রে গত কয়েকবছর ধরেই তিনি গুরুগ্রামে থাকেন। এদিকে লকডাউনের মধ্য়ে চাকরি যায় তাঁর। তার মধ্যে ২০২০ সালের এপ্রিলে দেখা যায় স্ত্রী স্বস্তিকা সন্তানসম্ভবা। এদিকে পকেটে পয়সার টানাটানি। নভেম্বর মাসে স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে স্ত্রীকে নিয়ে যান দিবস। সেখান থেকে তাঁকে বলা হয়েছিল সেক্টর ১২র হাসপাতালে নিয়ে যেতে। সেই মতো সেখানেই স্ত্রীকে ভর্তি করেন তিনি। এরপর ১৬ই নভেম্বর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন স্বস্তিকা। কিন্তু স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পরে এবার অন্য় বিপত্তি। প্রচন্ড যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকেন স্বস্তিকা। এর সঙ্গেই ওজন প্রায় ১৬ কেজি কমে যায় স্বস্তিকার।
এদিকে ফের ওই হাসপাতালে স্ত্রীকে নিয়ে যান দিবস। কিন্তু সেখানে কিছুই ধরা পড়েনি। এরপর অন্য় একটি হাসপাতালে পরীক্ষা করিয়ে তিনি জানতে পারেন স্ত্রীর পেটে অস্ত্রোপচারের তুলো রয়ে গিয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে কার্যত জোর করে স্বস্তিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করিয়ে তুলো বের করে দেয় বলে অভিযোগ।
এদিকে সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দিবস। প্রায় দুবছর মামলা চলার গুরুগ্রামের একটি আদালত সেই বেসরকারি হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে। দিবস বলেন, সরকারি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকেই আমাকে শিবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সুবিচার পেয়েছি। এতে আমি খুশি।