বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দফার শুরুতেই তুলকালাম হল সংসদে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এমন কাণ্ড হল শুরুতেই, যে রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে মুলতুবি করে দিতে হল। গত কয়েক সপ্তাহে জ্বালানির দামবৃদ্ধি নিয়ে বিতর্কের দাবি তুলে স্লোগান দিতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভরত কংগ্রেস সাংসদদের উদ্দেশ্যে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, ‘প্রথম দিনই আমি কঠোর পদক্ষেপ করতে চাই না।’
পেট্রল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলের অনেক নেতা–নেত্রীকেই। সোমবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম ৯১.৩৫, ডিজেলের দাম ৮৪.৩৫। রান্নার গ্যাসের দাম ৮৪৫.৫০ টাকা। এদিন সংসদে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘পেট্রলের দাম প্রায় ১০০ ছুঁইছুঁই। ডিজেলের দামও ৮০ টাকার উপর। গ্যাসের দামও বেড়েছে। তার জন্য গোটা দেশ ভুগছে।’
এদিন চিঠি লিখে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন জানান, নির্বাচনী প্রচারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের বেশিরভাগ সাংসদই এখন বাংলায়। তাই আপাতত এই অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করা হোক। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, জ্বালানির দামবৃদ্ধি ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি ইলেক্ট্রিক স্কুটারে চড়ে অভিনব প্রতিবাদ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার গ্যাস সিলিন্ডারের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে সিলিন্ডার মিছিল করেন তিনি। এই ইস্যুতে সাইকেলে চড়ে অফিস যান সোনিয়া গান্ধীর জামাই রবার্ট বঢরা।
এদিন অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘বাকি বিষয় বাদ রেখে শুধু পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েই আলোচনা হোক।’ কিন্তু মল্লিকার্জুনের দাবি নস্যাৎ করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। সোমবার সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই দেখা গেল বিরোধীদের কণ্ঠেও রান্নার তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদের এক সুর। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট আসন্ন। নির্বাচনের নির্ঘণ্টও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তাই এই ইস্যু ভোটে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবার ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলছে কৃষক আন্দোলন। কৃষক আন্দোলন ইস্যু নিয়েও সরগরম হতে পারে সংসদের অধিবেশন কক্ষ। কারণ বিকেল ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন চলবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।