রামায়ণের সঙ্গে জড়িত বিশেষ ধর্মীয় স্থান। সব কটাই যাত্রা করা যাবে একটিই রুটের ট্রেনে। রবিবার দিল্লির সফদারজঙ রেলওয়ে স্টেশন থেকে চলা শুরু করল 'রামায়ণ সার্কিট' ট্রেন। ফুল এবং লাল গালিচায় পর্যটকদের অভ্যর্তনা জানানো হল। চলতে শুরু করল নতুন এসি ডিলাক্স ট্যুরিস্ট ট্রেনটি।
এদিন ট্রেনটির যাত্রা শুরু উপলক্ষ্যে ছিল বিশেষ আয়োজন। স্টেশনের প্রবেশপথ থেকে কোচ পর্যন্ত, রামচন্দ্রের বিভিন্ন কাটআউট দিয়ে সাজানো হয়েছিল। ১৩২ জন পর্যটক নিয়ে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। কেন্দ্রের 'স্বদেশ দর্শন স্কিম'-এর অধীনে এই ট্রেনটি চালু করা হয়েছে।
৭,৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ যাত্রা করবে এই ট্রেন। মোট ১৭ দিনের ট্যুর। তীর্থযাত্রীদের পৌঁছে যাবে রামায়ণের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এর মধ্যে রয়েছে অযোধ্যা, প্রয়াগ, নন্দীগ্রাম, জনকপুর, চিত্রকূট, সীতামারহি, নাসিক, হাম্পি এবং রামেশ্বরম।
লম্বা যাত্রায় যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্যও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। ট্রেনে ফার্স্ট ক্লাস রেস্তোরাঁ, লাইব্রেরি এবং শাওয়ার কিউবিকেলের মতো অতি প্রয়োজনীয় সুবিধাবলী থাকবে। রেলের প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জারদোশ বলেন, রামায়ণ সার্কিট ট্রেনটি ভারতীয় রেলের একটি উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা।
আইআরসিটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রাপথে প্রথম স্টপেজ অযোধ্যা। তীর্থযাত্রীদের রাম লালা এবং হনুমানগড়ীর দর্শনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর ট্রেনটি বিহারের সীতামারহিতে চলে যাবে। কথিত, এই স্থানেই সীতার জন্ম হয়েছিল। যাত্রীদের নেপালের রাম-জানকী মন্দিরেও নিয়ে যাওয়া হবে,' আইআরসিটিসি জানিয়েছে।
তবে একটি নয়। চলতি মাসে আরও তিনটি রামায়ণ সার্কিট ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় রেল। তারপর আগামী ২০ জানুয়ারী আরেকটি ট্রেন চালু হবে। ভাড়ার মধ্যেই খাবার এবং অন্যান্য পরিষেবার খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।