এক মামলা ঘিরে জটিলতা বাড়তে থাকায় এবার সরকারের কাছে এক প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, দিল্লির এক হাসপাতাল মৃত রোগীর সংগৃহিত বীর্য তার পরিবারের হাতে তুলে দিচ্ছে না। এই অভিযোগে ওই রোগীর পরিবার দ্বারস্থ হয় আদালতের। প্রশ্ন ওঠে, একজন অবিবাহিত মৃত ব্যক্তির সংগৃহিত বীর্যের ওপর কার অধিকার রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লি সরকারের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
ঘটনার সূত্রপাত দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতাল ঘিরে। যে হাসপাতাল তাদের মৃত রোগীর সংগৃহিত বীর্য পরিবারকে তুলে দিতে চাইছে না। উল্লেখ্য, আদালতে হাসপাতাল জানিয়েছে, অবিবাহিত মৃত রোগীর সংগৃহিত বীর্য হস্তান্তর নিয়ে এদেশের আইনে কোনও স্পষ্ট নীতি বা প্রক্রিয়ার কথা বলা নেই। আর সেই নিরিখেই তারা বীর্য হস্তান্তরে অসম্মত বলে জানিয়েছে হাসপাতাল। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ৩০ বছরের এক ব্যক্তি ক্যনসারে আক্রান্ত হয়ে স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে প্রয়াত হন। এরপর তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁর সংগৃহিত বীর্য তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান। তাতেই অসম্মত হয় স্যার গঙ্গারাম হাসপাতাল। আদালতে হাসপাতাল জানিয়েছে, আইসিএমআর-এর অ্যাসিসটেড রিপ্রোডাকটিভ টেকনোলজি অ্যাক্ট-এ, অবিবাহিত ব্যক্তির সংরক্ষিত বীর্য হস্তান্তর নিয়ে একটিও বাক্য করা নেই। হাসপাতালের দাবি, গাইডলাইন ও আইনি নীতি যেখানে নেই, সেখানে এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতাল ওই বীর্য হস্তান্তরও করতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে আদালত যেন উপযুক্ত নির্দেশ দেয়, তার দাবিতে সরব হয়েছে হাসপাতাল।
উল্লেখ্য, হাসপাতালে ক্যানসারের চিকিৎসা চলাকালীন চিকিৎসকরা ওই ক্যানসার রোগীর পরিবারকে জানিয়েছিলেন যে, কেমো থেরাপি চলাকালীন তাঁদের সন্তানের বন্ধ্যাত্ব আসতে পারে। তাই কেমো থেরাপি শুরুর আগেই তাঁর বীর্য সংগ্রহ করে রাখা হয়। পরবর্তীকালে ওই পরিবার তার সন্তান হারায়। এরপর ওই রোগীর বীর্য তাঁদের হাতে তুলে দেওয়রা দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেই প্রেক্ষাপটেই উঠে আসে এই নয়া আইনি জটিলতা।