তাঁর ছেঁড়া ওএমআর শিট নিয়ে তিনি অভিযোগে সরব হন। এছাড়াও অভিযোগ করেছিলেন যে, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি তাঁর নিটের ফলাফল প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই দুই অভিযোগ সঙ্গে নিয়ে নিট পরীক্ষার্থী আয়ুষী দ্বারস্থ হয়েছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের। এলাহাবাদ হাইকোরট তার রায়ে জানিয়েছে, নিট পরীক্ষার্থী আরুষি জাল নথি জমা দিয়েছেন পরীক্ষায়। এক্ষেত্রে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএকে যোগ্য আইনি পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।
পিটিশনে আয়ুষি দাবি করেছিলেন যে, তাঁকে ওএমআর শিট ছেঁড়া অবস্থায় পাঠিয়ে এনটিএ দাবি করেছে যে, এমন ছেঁড়া ওএমআরশিট নিয়ে আয়ুষীর ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না। মামলায় কোর্ট এনটিএকে কোর্টে আয়ুষীর ওএমআর শিট পেশ করতে বলে। সেখানে এনটিএর পেশ কার ওএমআর শিট-এ দেখা যায় কোনও ছেঁড়া কিছু নেই। এদিকে, এক সোশ্যাল মিডয়া পোস্টেও আয়ুষী ওই ছেঁড়া ওএমআর শিট পেশ করেন। মামলায় পরীক্ষার্থীর দাবি ছিল, ওএমআর শিট যেন প্রযিক্তিগতভাবে না দেখে, ‘ম্যানুয়ালি' দেখা হয়। এছাড়াও নিট ইউজিতে ভর্তির কাউন্সিলিং বন্ধের দাবি তোলেন তিনি। এর আগে, ১২ জুন এনটিএকে অয়ুষীর আসল নথি পেশ করতে বলে কোর্ট। এনটিএর ডেপুটি ডিরেক্টর সন্দীপ শর্মা কোর্টে পড়ুয়ার আসল নথি পেশ করেন একটি হলফনামার সঙ্গে। সেইটি যাচাই করে, কোর্ট জানিয়েছে, জাল করা নথির ভিত্তিতে নিট পরীক্ষার্থী আয়ুষী ওই মামলা করেছেন। এই ঘটনায় আয়ুষীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ এনটিএকে দিয়েছে কোর্ট।
কোর্টের সওয়াল জবাব পর্বে দেখা যায়, অ্যাপ্লিকেশন নম্বর 240411340741 বলছে এনটিএ। আর আয়ুষীর আইনজীবী বলছেন, তাঁর মক্কেলের অ্যাপ্লিকেশন নম্বর 240411840741। তবে এনটিএর তরফে কোর্টে দাবি করা হয় যে, এনটিএর নথিতে ওই অ্যাপ্লিকেশন নম্বরে রয়েছে আয়ুষীর সই। এদিকে, এর আগে, আয়ুষী এই মামলায় একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে সরব হয়েছিলেন। সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তার মাঝে চলেছে নিট ইউজি নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। তারপর আয়ুষী মামলায় এল এলাহাবাদ কোর্টের রায়।