পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণকাজের বিরোধিতায় করা পিটিশন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ওড়িশা সরকার যে নির্মাণকাজ হাতে নিয়েছে, সেটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। এর আগে এই মামলা ওড়িশা হাইকোর্টেও উঠেছিল। কিন্তু সেটি খারিজ হয়ে যায়।
এই প্রসঙ্গে বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি হিমা কোভিল জানান, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই রাজ্য সরকার এই নির্মাণকাজ চালাচ্ছে। সুতরাং মামলকারী যে মামলাটি দাখিল করেছেন, সেটিকে গ্রাহ্য করা হচ্ছে না।’ একইসঙ্গে এই মামলাটিকে জরুরিভিত্তিতে তোলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। আদালত এই প্রসঙ্গে জানায়, মামলাটিকে এমনভাবে জরুরিভিত্তিতে তোলা হয়েছে যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। জনস্বার্থের সঙ্গে যুক্ত নয়, এমন অনেক মামলাকে জনস্বার্থের সঙ্গে জড়িত মামলা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এই ধরনের মামলা দায়ের করে আসলে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করা হচ্ছে। এর আগেও অন্য একটি মামলায় এই ধরনের নির্মাণকাজ করার বিষয়ে শীর্ষ আদালত অনুমতি দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, যিনি এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন তিনি একজন পূণ্যার্থী। রাজ্য সরকারের এই নির্মাণকাজের বিরোধিতা করে মামলাকারী আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, শতাব্দি প্রাচীন মন্দিরের ১০০ মিটারের মধ্যে এই বাড়তি নির্মাণকাজ চালানো হচ্ছে। এবং এই নির্মাণকাজ করার জন্য ভারতের প্রত্নতত্ববিভাগের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী শীর্ষ আদালতের কাছে নথি পেশ করে জানায়, পূর্ণ্যার্থীদের বৃহত্তর স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যে কাজ রাজ্য সরকার করছে, তাতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সমর্থন রয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী আদালতকে জানায়, মন্দিরে আগত মহিলা, পুরুষ ও সেবায়িতদের জন্য অতিরিক্ত শৌচালয় তৈরির কাজ করছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে জামাকাপড় বদল করার জন্যও ঘর তৈরি করা হচ্ছে। জুলাইতে রথযাত্রা উৎসবকে মাথায় রেখেই এই নির্মাণকাজ চলছে।