উপসর্গযুক্ত রোগীর ক্ষেত্রে কার্যকারিতা ৭৭.৮ শতাংশ। আর গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে ৯৩.৪ শতাংশ কার্যকরী কোভ্যাক্সিন। তৃতীয় পর্যায়ের ক্নিনিকাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত পরীক্ষায় এমনই তথ্য মিলেছে বলে দাবি করল ভারত বায়োটেক।
মেডরিক্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, ১৩০ জন উপসর্গ-যুক্ত করোনা আক্রান্তের উপর পরীক্ষা চালিয়ে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কমপক্ষে দু'সপ্তাহ পরে তাঁদের উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। দেশের ২৫ টি কেন্দ্রে চলছিল সেই পরীক্ষা। স্বেচ্ছাসেবকদের ২৪ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছিল। বাকিদের দেওয়া হয়েছিল প্লাসেবো। সেই পরীক্ষায় যাঁদের শারীরিক অসুস্থতা বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে ৯৩.৪ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে কোভ্যাক্সিন। উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে আবার ভারত বায়োটেকের করোনা টিকার কার্যকারিতা ৬৩.৬ শতাংশ হয়েছে। বি.১.৬১৭.২ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে ৬৫.২ শতাংশ সুরক্ষার প্রমাণ মিলেছে।
কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে, তা একেবারে নগণ্য বলে দাবি করা হয়েছে। সুরক্ষা তথ্যের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে, তা প্লাসেবোর মতোই। ১২ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবকের ক্ষেত্রে সাধারণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। আর ০.৫ শতাংশের কম স্বেচ্ছাসেবকের গুরুতর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হয়েছিল।
সেই ‘সাফল্যের’ পর ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণা এল্লা বলেছেন, ‘ভারতে বিশ্বের সবথেকে বড় ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যে সফল সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার তথ্য মিলেছে, তাতে ভারত এবং উন্নয়নশীল দেশে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যে দেশগুলির উদ্ভাবন এবং ভালোমানের সামগ্রী তৈরির ক্ষেত্রে আরও মনোযোগ দিতে পারে। আমরা গর্বিত যে এখন ভারতের উদ্ভাবন বিশ্বের মানুষকে রক্ষা করবে।’ তবে তারইমধ্যে ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে কোনও আইনি সুরক্ষাকবচ চায়নি।