শেষ হল কোভ্যাক্সিনের(Covaxin) তৃতীয় পর্যায়ের রিপোর্টের বিশ্লেষণ। উপসর্গসহ করোনা(Corona Vaccine) আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রোধে ৭৮% কার্যকরী(efficacy) ভারত বায়োটেকের এই টিকা। ওয়াকিবহাল মহলের আন্দাজ, জুন মাসের শুরুতেই রিপোর্টের রেজাল্ট ঘোষণা করতে পারে সংস্থা।
দিল্লি এইমস-এর চিকিত্সক সঞ্জয় রাই থার্ড ফেজ-এ প্রধান পর্যবেক্ষক ছিলেন। তিনি জানান, 'প্রথম অন্তর্বর্তী কার্যকারিতা বিশ্লেষণে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা ছিল ৮১% । এরপর দ্বিতীয় অ্যানালিসিসে তা দাঁড়ায় ৭৮%-এ। তৃতীয় ও অন্তিম পর্যবেক্ষণে ১৩০ জন করোনা আক্রান্তের উপর পরীক্ষা হয়। এক্ষেত্রেও কার্যকারিতা ৭৮%-ই এসেছে।'
যদিও এখানেই শেষ নয়। এবার এই তথ্য অন্য কোনও গবেষণা সংস্থার রিভিউ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করাও প্রয়োজন। এমনটাই জানালেন ডঃ সঞ্জয় রাই।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনিও এই রেজাল্টের বিষয়েই জানিয়েছেন। 'খুব শীঘ্রই তাঁরা(ভারত বায়োটেক) সমস্ত তথ্য প্রকাশ করবেন,' জানালেন তিনি।
তৃতীয় ফেজে ১৮-৯৮ বছর বয়সী ২৫,৮০০ জনের উপর পর্যবেক্ষণ করা হয়। দ্বিতীয় ডোজের ১৪ দিন পর থেকে চলে বিশ্লেষণ।
প্রসঙ্গত, কোভ্যাক্সিনকে আন্তর্জাতিক জরুরি ব্যবহারের তালিকায় স্থান দিতে WHO-এর কাছে আবেদন করেছে ভারত বায়োটেক। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার, সংস্থা জানায়, আগামী জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসেই মিলতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবুজ সংকেত।
ভারত বায়োটেক তাদের করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের জন্য এই ইউএল-এর আবেদন করেছে হু-এর কাছে। এটি প্রকৃতপক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র বলা যেতে পারে।