দিনকয়েক আগেই ‘চাপ’ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতেই মিলল দীপাবলির ‘উপহার’। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তার ফলে এবার থেকে বিদেশ যাত্রার থেকে সুবিধা পাবেন ভারত বায়োটেকের করোনাভাইরাস টিকা গ্রহীতারা।
জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দিনকয়েক আগে রোমে গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান টেডরোস ঘেবরেসাসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সূত্রের খবর, সেই সাক্ষাতের মধ্যেই কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়ার জন্য ঘেবরেসাসকে ‘চাপ’ দিয়েছিলেন মোদী।
এমনিতে জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের অনুমোদনের জন্য গত ১৯ এপ্রিল নথি পেশ করেছিল ভারত বায়োটেক। যে সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) সঙ্গে যৌথভাবে কোভ্যাক্সিন তৈরি হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই অনুমোদন পায়নি সেই টিকা। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রশ্নের জবাবে হুয়ের তরফে বলা হয়েছে, ‘টেকনিকাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ আজ (২৬ অক্টোবর) আলোচনায় বসেছিল। জরুরি ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী টিকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুবিধা ও ঝুঁকি নিয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করতে যে অতিরিক্ত উত্তর লাগবে, তা উৎপাদনকারী সংস্থার থেকে চাওয়া হয়েছে।’ সঙ্গে বলা হয়েছে, ‘চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সেই জবাব চলে আসবে বলে মনে করছে টেকনিকাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ এবং সুবিধা ও ঝুঁকি নিয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য ৩ নভেম্বর (বুধবার) আবার মিলিত হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ’ সেই বুধবারই কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, ভারত বায়োটেকের দাবি, উপসর্গ-যুক্ত করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে কোভ্যাক্সিন। নয়া ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিনের ৬৫.২ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করা হয়।