করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠনের লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছে কোভ্যাক্সিন টিকা। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠতে শুরু করে। এমনই জানিয়েছে উৎপাদক সংস্থা ভারত বায়োটেক।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রয়োগ করা হচ্ছে টিকার সম্পূর্ণ দুটি ডোজ। প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়। তার ১৪ দিন পর থেকে মানবশরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ট্রায়ালের তৃতীয় তথা চূড়ান্ত পর্বে ৫০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবককে ভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে এবং ৫০ শতাংশকে প্ল্যাসেবো দেওয়া হচ্ছে।
মনে রাখা দরকার, ভারতে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রক্রিয়ায় তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিন কোভ্যাক্সিন-এর ট্কায়ালই এ পর্যন্ত বৃহত্তম। আবার এ দেশে কোভিড ভ্যাক্সিনের দক্ষতা প্রমাণের ট্রায়ালও একমাত্র এই টিকার ক্ষেত্রেই করা হচ্ছে।
সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, ভ্যাক্সিনের নিরাপত্তাই টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারত বায়োটেক-এর অগ্রাধিকার। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০ বছরে ১৮টি দেশের ৬ লাখের বেশি স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে ৮০টিরও বেশি সফল ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আয়োজন করেছে এই সংস্থা।
প্রসঙ্গত, শনিবার তাঁর কোভিড পজিটিভ হওয়ার খবর জানিয়েছেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ। গত ২০ নভেম্বর তিনি কোভ্যাক্সিন ট্রায়ালের তৃতীয় পর্বে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁকে টিকার একটি ডোজ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগেই তিনি করোনাভাইরাসেরদ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।
টিকা নেওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে সংক্রমিত হলেন মন্ত্রী, তাই ননিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরুকরেছে। তার জবাব দিতেই কোভ্যাক্সিন সম্পর্কে সবিস্তার ব্যাখ্যা প্রকাশ করেছে উৎপাদক সংস্থা ভারত বায়োটেক।