সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কর্নাটকে তৈরি হতে চলেছে কোভ্যাক্সিন। কোলার জেলার মালুর শিল্পাঞ্চলকে দেশীয় করোনাভাইরাস টিকার উৎপাদনের কারখানার জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন কর্নাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের করোনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রধান সি এন অশ্বত্থ নারায়ণ।
শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে তিনি বলেন, ‘রাজ্যের রাজধানীর (বেঙ্গালুরু) কাছে অবস্থিত মালুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। সেখানে ট্রেন পরিষেবাও মিলবে। ইতিমধ্যে সরকারের তরফে সেই প্রকল্পে ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক যে সমস্ত নিয়মকানুন আছে, তা পূরণের কাজ করছে সংস্থা (ভারত বায়োটেক)।’ কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) কোভিশিল্ড টিকার উৎপাদনের কারখানা গড়ে তুলতে চাইলে তাদেরও সাদর অভ্যর্থনা জানাতে তৈরি আছেন বলে জানিয়েছেন কর্নাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী।
সেই সিদ্ধান্তের আগেরদিনই রাজ্যে টিকার আকাল এবং দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল কর্নাটক হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি অভয় ওকারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, রাজ্যের ভাঁড়ারে মাত্র ১১ লাখ করোনা টিকার ডোজ আছে। অথচ ৩১ লাখ মানুষকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করতে হবে। এমনিতে রাজ্যে এক কোটির বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে ৭৩ লাখের বেশি মানুষ পেয়েছেন প্রথম ডোজ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুই থেকে ১৮ বয়সিদের উপর কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্নিনিকাল ট্রায়াল চালানোর জন্য ভারত বায়োটেককে অনুমতি দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। হায়দরাবাদের সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ৫২৫ জন ‘সুস্থ’ স্বেচ্ছাসেবকের উপর কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল চালানো হবে। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লি এইমস, পাটনা এইমস, নাগপুরের মেডিট্রিনা ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে সেই ট্রায়াল চলবে। যদিও ভারত বায়োটেকের তরফে কোথায় চালানো হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।