বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবুজ সংকেত না পাওয়ায় কোভ্যাক্সিন নিয়ে এখনও বহু মানুষের মনে সংশয় রয়েছে। এই আবহে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য ছাড়পত্র চেয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে আবেদন জানায় ভারত বায়োটেক। এই টিকা নিয়ে কী বলছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা? এই বিষয়ে সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানান, করোনার ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ততটা সক্ষম নয় কোভ্যাক্সিন। তবে মোটের উপর টিকার কার্যকারিতা নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট বলে জানান সৌম্যা স্বামীনাথন।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার তথ্য প্রকাশ করে। সেই তথ্য নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈঠক করেন বলেও জানান মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। এরপর টিকার কার্যকারিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপর কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা অত বেশি না। তবে তা বেশ ভালো। মোটের উফর করোনার বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিনের প্রতিষেধক ক্ষমতা যথেষ্ট ভালো।'
ভারত বায়োটেকের তরফে তৃতীয় পর্যায়ে পরীক্ষার পর দাবি করা হয়, ডেল্টা স্ট্রেনকে রুখতে সক্ষম কোভ্যাক্সিন। পাশাপাশি ট্রায়ালে কোভ্যাক্সিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে বলে দাবি করে ভারত বায়োটেক। সেই পরীক্ষায় যাঁদের শারীরিক অসুস্থতা বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে ৯৩.৪ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে কোভ্যাক্সিন। উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে আবার ভারত বায়োটেকের করোনা টিকার কার্যকারিতা ৬৩.৬ শতাংশ হয়েছে। সেই পরীক্ষায় যাঁদের শারীরিক অসুস্থতা বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে ৯৩.৪ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে কোভ্যাক্সিন। উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে আবার ভারত বায়োটেকের করোনা টিকার কার্যকারিতা ৬৩.৬ শতাংশ হয়েছে। বি.১.৬১৭.২ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে ৬৫.২ শতাংশ সুরক্ষার প্রমাণ মিলেছে।