কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে ৬০-এর উর্ধ্ব ও কো-মর্বিডিটিযুক্ত ৪৫ উর্ধ্ব ব্যক্তিদের। আর এই দ্বিতীয় পর্যায়েও অনেকের মধ্যেই রয়েছে ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন।
শুধু প্রশ্ন নয়, রয়েছে ভয়ও। সেক্ষেত্রে শুরুতেই জানিয়ে রাখা দরকার, যে কোনও ভ্যাকসিনেই সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। সেটা অসহনীয় বা ভীষণ ক্ষতিকর হলে বাজারে আসার অনুমোদনই পেত না। তাছাড়া বহু মানুষ রোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করছেন। তাই গুজবে কান দেবেন না। অযথা ভয় পাবেন না।
সোমবার ভারত বায়োটেকের কোভিশিল্ড গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কেন্দ্রীয় সরকার বারবার ভ্যাকসিনের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেছে। সঙ্গে কিছু হালকা ও সাময়িক পার্শপ্রতিক্রিয়ার কথাও জানিয়েছে। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিও এ বিষয়ে লিস্ট প্রকাশ করেছে।
কাদের কোভ্যাক্সিন নেওয়া উচিত্ নয়?
১. যাঁদের অ্যালার্জি, জ্বর, রক্তক্ষরণ ইত্যাদির সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে চিকিত্সকের পরামর্শ প্রয়োজন।
২. যাঁরা ব্লাড থিনার, অর্থাত্ রক্তকে পাতলা করে তোলে এমন কোনও ওষুধ গ্রহণ করেন, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি দূর্বল (ইমিউনো কম্প্রোমাইজড) তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন চিকিত্সকের পরামর্শ।
৩. শীঘ্র কনসিভ করার পরিকল্পনা থাকলে অথবা সন্তানসম্ভবা হলে আগে অবশ্যই আপনার চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। সন্তানদের স্তন্যপান করানো মায়েদের ক্ষেত্রেও রয়েছে বিধি নিষেধ।
৪. এছাড়া যাঁদের অন্যান্য গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে, তাঁদেরও কোভ্যাক্সিন নেওয়ার আগে তাঁদের চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ প্রয়োজন।
৫. যাঁরা আগেই অন্য অ্যান্টি করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন, তাঁরাও কোভ্যাক্সিন গ্রহণ করতে পারবেন না।
কোভ্যাক্সিনের সাইড-এফেক্ট
১. ইঞ্জেকশনের স্থানে অল্প যন্ত্রণা, লাল হয়ে সামান্য ফুলে ওঠা।
২. ইঞ্জেকশনের হাতে সাময়িক দূর্বলতা।
৩. শরীরে ব্যাথা-যন্ত্রণা
৪. মাথা ব্যাথা
৫. জ্বর
৬. বমি বমি ভাব
৭. ফুসকুড়ি
৮. অল্প মাথা ঘোরা
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে বিরল ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনে তীব্র অ্যালার্জি হতে পারে। সেক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, গলা-মুখ ফুলে যাওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, লাল লাল ফুসকুড়ি ওঠা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
কাদের কোভিশিল্ড নেওয়া উচিত্ নয়?
সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ফ্যাক্টশিট বলছে
১. একবার কোভিশিল্ড গ্রহণ করে কারও যদি তুমুল অ্যালার্জি হয়, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজটি নেওয়া উচিত নয়।
২. কোভ্যাক্সিনের মতোই শীঘ্র কনসিভ করার পরিকল্পনা থাকলে অথবা সন্তানসম্ভবা হলে আগে অবশ্যই আপনার চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। সন্তানদের স্তন্যপান করানো মায়েদের ক্ষেত্রেও রয়েছে বিধি-নিষেধ।
৩. যাঁরা আগেই অন্য অ্যান্টি করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন, তাঁরাও কোভিশিল্ড গ্রহণ করতে পারবেন না।
কোভিশিল্ডের সাইড-এফেক্ট
১. ইঞ্জেকশনের স্থানে অল্প যন্ত্রণা, চুলকানি, লাল হয়ে সামান্য ফুলে ওঠা।
২. অল্প জ্বর জ্বর ভাব, ঠান্ডা লাগা।
৩. মাথার যন্ত্রণা।
৪. শরীরের গাঁটে গাঁটে ব্যাথা।
এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ ব্যক্তি কো-উইন অ্যাপে রেজিস্টার করেছেন। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় প্রায় ৫ লক্ষ ব্যক্তি ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন।