ইতালিতে করোনাভাইরাসের প্রকোপে এখনও পর্যন্ত নয় হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন।দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এদের অধিকাংশই বয়স্ক।কিন্তু জানা গিয়েছে, একজন ১০২ বছরের মহিলা করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
উত্তর ইতালির জেনোয়া শহরে এই বৃদ্ধা কুড়ি দিন হাসপাতালে থাকার পর এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।সিএনএন রিপোর্টে প্রকাশ, তাঁকে হাইল্যান্ডার-অর্থাত্ ইতালিয় ভাষায় অমর হিসাবে ডাকতেন চিকিত্সকরা।ইতালিকা গ্রোনডোনা নামের এই মহিলা ভর্তি ছিলেন জেনোয়ার স্যান মার্টিনো হাসপাতালে।
ইতালির জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে সমস্ত বয়স্ক মানুষের জন্য আশার কিরণ হয়ে উঠেছেন ইতালিকা। ইতালিতে এমনি যারা করোনায় মারা গিয়েছেন, তাদের গড় বয়স ৭৮। অর্থাত্ অধিকাংশ মানুষ যারা জীবনের সায়াহ্নে, তারা মারা গিয়েছেন করোনার ফলে। অন্যদিকে শতবর্ষ পেরোনো ইতালিকা করোনাকে হারিয়ে দিলেন ডাক্তারদের সাহায্যে।
মার্চ মাসের শুরুতে হার্টের সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তখনই করোনার অল্প কিছু চিহ্ন তাঁর মধ্যে দেখা গিয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হলেও কার্যত নিজে নিজেই সেরে গিয়েছেন তিনি।
চিকিত্সকরা জানিয়েছেন ১৯১৭ সালে জন্মেছেন ইতালিকা। অর্থাত্ তাঁদের দেখা ইতালিকা প্রথম রোগী যিনি স্প্যানিশ ফ্লু-এর বিরুদ্ধে সুস্থ থেকেছিলেন ও এখন করোনাকেও হারালেন। প্রসঙ্গত ১৯১৮-১৯ সালে স্প্যানিশ ফ্লু-এ গোটা বিশ্বে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ মারা গিয়েছিলেন।
২৬ মার্চ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বৃদ্ধা। তাঁর ভাগ্নে রেনোটে জানিয়েছেন যে এত বয়সেও জীবন উপভোগ করেন ইতালিকা। ভালোবাসেন গান শুনতে, নাচ দেখতে, টিভিতে বাইক রেসিং দেখতে। কয়েক দশক আগে নিজের একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছেন তিনি।তবুও জীবন যাপনের অদম্য ইচ্ছা তাঁর কমেনি। চিকিত্সকদের রাখা নাম সার্থক করে তাই বাড়িতে আরোগ্যের পথে ইতালিকা গ্রোনডোনা।
.