করোনায় বিশেষ সম্প্রদায়কে টার্গেট করা হচ্ছে এবং যারা কোয়োরেন্টাইনে আছেন, তাদের হত্যা করা হতে পারে। এমনই উস্কানিমূলক কথা বলার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন অসমের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম। একটি অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে যেখানে এরকম কথা বলার অভিযোগ আমিনুলের বিরুদ্ধে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ।
AIUDF দলের ধিং বিধানভা কেন্দ্রের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে করোনা প্রসঙ্গে উস্কানিমূলক, সাম্প্রদায়িক ও মিথ্যা বক্তব্য রাখার অভিযোগ করেছে পুলিশ। অসম সরকার বলেছে যে সবার জন্য সুচিকিত্সার ব্যবস্থা করা হবে। সেটিকে খণ্ডন করেই এই বক্তব্য রেখেছিলেন আমিনুল বলে অভিযোগ।
নাগাওন জেলার ধিংয়ে নিজের বাড়ি থেকে আমিনুলকে সোমবার আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবারই তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন অসমের ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত। তাঁর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র আটক করা হয়েছে। মোবাইলে কিছু ক্লিপিং পাওয়া গিয়েছে যেগুলির পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে পুলিশকর্তা জানিয়েছেন।
অসমে এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত ২৬, যার মধ্যে ২৫জন নিজামুদ্দিন মার্কাজে যাওয়া তবলিগি জামাতের সদস্য। বিভিন্ন হাসপাতালে তারা আছেন। সংস্পর্শে আসা লোকজনদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
যেই ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে আমিনুল বলছেন যে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলি ডিটেনশন সেন্টার থেকেও খারাপ। দুই মাস আগে যাওয়া জামাতিদেরও রাখা হয়েছে সেখানে। বাড়ির লোকদের আসেপাশে আসতে দিচ্ছে না প্রশাসন।
একসঙ্গে পাঁচ-দশজনকে একসঙ্গে রাখা হয়েছে, শুধু একটা বালিশ ও চাদর দেওয়া হয়েছে, মশারিও দেওয়া হয়নি বলে বিধায়কের অভিযোগ। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন যে এদের করোনার জন্য পরীক্ষাও করা হয়নি ও ঠিকঠাক খাওয়ার দিচ্ছে না রাজ্য সরকার।
কোয়ারেন্টাইনে যারা আছেন তাদের ইনজেকশন দিয়ে মেরে হয়তো বলা হবে করোনাভাইরাসে মারা গিয়েছেন, এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগও করেন বিধায়ক। যারা মার্কাজে গিয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে রাজ্য সরকার, বলেও দাবি করেন তিনি।
অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন যে মোট ৬১৭ জন নিজামুদ্দিন মার্কাজে গিয়েছিলেন, এর মধ্যে বেপাত্তা ১২৮। পুলিশ জানিয়েছে নিজের থেকে এরা এগিয়ে না আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।