দেশে করোনা আক্রান্ত প্রায় ৪.৫ লক্ষ মানুষ। যে সব শহর ও রাজ্যে, সংক্রমণের প্রকোপ অপেক্ষাকৃত কম, সেখানেও ছড়িয়ে যেতে পারে, সেই আশঙ্কাও আছে। সেই ভয়ে এবার শহরের একাংশে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিল দুই বড় শহর বেঙ্গালুরু ও গুয়াহাটি।
বেঙ্গালুরু শহরের চারটি বড় অংশে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার কর্নাটকে করোনা কেসের রেকর্ড বৃদ্ধির পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে চিন্তার কারণ হচ্ছে বাইরে থেকে আসা লোকের জন্য নয়, স্থানীয় স্তরে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে কেআর মার্কেট, চামারাজাপেটে, কলসিপাল্য ও চিকপেটেতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে গুয়াহাটিতে শতাধিক এমন লোকের খোঁজ বেরিয়েছে, যাদের কোনও বাইরে যাওয়ার ইতিহাস নেই, অথচ তারা করোনা আক্রান্ত। এর ফলেই ওয়ার্ড ভিত্তিক লকডাউনের পথে যাচ্ছে অসম।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন যে তিনি কামরুপ প্রশাসনকে ওয়ার্ড ভিত্তিক লকডাউনে যাওয়ার সুপারিশ দিয়েছেন। তিনি বলেন যে মানুষ যদি নিয়ম না মানেন, গুয়াহাটিতে খুব দ্রুত কেসের সংখ্যা বাড়তে পারে।
১৫ তারিখ থেকে ১২ টি নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে প্রায় ৫০০০ স্যাম্পেল নেওয়া হয়েছে সুস্থ মানুষদের পরীক্ষার জন্য। মানু। নিজে থেকেই এসে পরীক্ষা দিচ্ছেন ও সেখান থেকেই দেখা যাচ্ছে, যারা কোনও দিন বাইরে যাননি তাদের শরীরে ভাইরাসের রেশ। এই মাসের শেষের মধ্যে মোট ৫০ হাজার নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে তিনি জানান।
তবে যে দুই শহরে সবচেয়ে বেশি কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, সেই দিল্লি ও মুম্বইয়ে আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই লকডাউন বৃদ্ধির বলে জানানো হয়েছে।