পাঁচদিন বয়সী ভ্রূণও হতে পারে কোভিড আক্রান্ত। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এল আইসিএমআর-এর এক গবেষণা থেকে। এই গবেষণায় আইসিএমআর-এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ। আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্ম নেওয়া ৪৫টি ভ্রূণের উপর পরীক্ষা চালিয়ে এই গবেষণা সম্পন্ন করা হয়। ভ্রূণগুলি ফার্টিলিটি ক্লিনিকের তরফে গবেষকদের দান করা হয়েছিল।
গবেষকদের মতে, গর্ভে থাকাকালীনই ভ্রূণ কোভিডে আক্রান্ত হতে পারে। মা যদি কোভিডে আক্রান্ত হয়, সেখান থেকেই তা সংক্রমিত হতে পারে ভ্রূণে। তাছাড়া আইভিএফ-এর ক্ষেত্রে, প্রক্রিয়ার সময়ও কোভিড সংক্রমণ ছড়াতে পারে ভ্রূণে। এর জেরে গর্ভপাতেরও প্রবল সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তবে গর্ভপাতের সম্ভাবনা সংক্রান্ত কোনও বিশদ তথ্য তাদের তরফে দেওয়া সম্ভব হয়নি এখনই। গবেষণা জারি রয়েছে।
জানা গিয়েছে ভ্রূণে থাকা নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন কোভিডকে দেহে ঢুকতে সাহায্য করে দেয়। সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়ায়। এই নির্দিষ্ট প্রোটিনের সাহায্যেই ভ্রূণে ফুসফুসে আক্রমণ চালাতে পারে কোভিড। গবেষণায় জানা গিয়েছে ACE2 এবং TMPRSS2 প্রোটিনের মাধ্যমেই কোভিড ভ্রূণকে আক্রান্ত করতে পারে। এই প্রোটিন ভাইরাসের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে জানিয়েছেন গবেষক ডঃ দীপক মোদী। এই প্রোটিন ভ্রূণের মধ্যে রিসেপ্টরের মতো কাজ করে। এদিকে আইভিএফ-এর ক্ষেত্রে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের থেকেও ভ্রূণে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডঃ মোদী।
এদিকে নবি মুম্বইতে অবস্থিত ফর্টিস হাসপাতালে গাইনোকলজিস্ট ডঃ মঞ্জরি মেহতা জানিয়েছেন যে নির্দিষ্ট সংখ্যা না জানা থাকলেও করোনা কালে সংক্রমণের জেরে গর্ভপাতের সংখ্যা বাড়তে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে এটি সরাসরি কোভিডের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। তবে গবেষণা সম্পন্ন হলে এই বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।